মাগুরা জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী সৈয়দা সানিয়া আক্তার ও অফিস সহায়ক আলমগীর হোসেন নামে দুই কর্মকর্তা কর্মচারীকে দূর্ণীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছে বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা। ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ভুয়া পে-অর্ডারের মাধ্যমে সাব্বির হোসেন নামে এক ভুয়া মিলার দেখিয়ে ১৭০ মেট্রিকটন ধান খাদ্য গুদাম থেকে ছাড় করিয়ে দেন।
মাগুরা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনোতোষ কুমার মজুমদার জানান, ২০২১-২২ আমন সংগ্রহের যে ধান গুদামজাত করা হয়েছিল। আমন সংগ্রহের ধানের চাউল দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ হচ্ছিল না। এ বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় কর্মর্কতা, কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবির চৌধুর কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি সরোজমিনে অনুসন্ধান করে খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে মাগুরা জেলা খাদ্য অফিসের প্রধান অফিস সহকারী সৈয়দা সানিয়া ও অফিস সহায়ক আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে। তবে সাবেক জেলা খাদ্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান প্রথম শ্রেনী পদমর্যদার অফিসার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে খাদ্য অধিদপ্তর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, মাগুরা খাদ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী সৈয়দা সানিয়া আক্তার ও অফিস সহায়ক আলমগীর হোসেন ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ভুয়া পে-অর্ডারের মাধ্যমে সাব্বির হোসেন কে ১৭০ মেট্রিকটন ধান প্রদান করে। যার বিপরীতে ১১৩ মেট্রিকটন চাউল খাদ্য গুদামে সরবরাহ করবে। কিন্তু ৫ মাস অতিবাহিত হলেও চাউল প্রদান করেনি। ২১.০৬.২২ইং তারিখে বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান ঝটিকা অভিযানে মাগুরা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে আমন সংগ্রহের চাউল না পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।