চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীর দৌলতপুর তরফদার ঘাটে ট্রাক হেলপার মোঃ জনি ফরাজী (১৮) হত্যা মামলার আসামি পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গতকাল সোমবার মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম এ জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। রাব্বি দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামি একই এলাকার মোঃ লিয়াতক হোসেনের ছেলে মোঃ মামুনুর রশিদ লিমন (১৯)-এর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ মোশারফ হোসেন জানান, ১ সেপ্টেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে মহেশ্বরপাশা সাহেবপাড়া এলাকা থেকে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে নিহত জনিসহ তারা একটি সংঘবদ্ধ চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি চক্রের সদস্য। ১৫ দিন পূর্বে দিঘলিয়া থেকে নিহত জনি ফরাজী, কালা জনি, লিমনসহ অন্যান্যরা একটি স্বর্ণের চেইন ও ২ হাজার টাকা ছিনতাই করে। উক্ত টাকার ভাগ না দেয়ার জন্য জনিকে খুন করা হয়। ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জনিকে গাঁজা খায়ানোর কথা বলে তারা দৌলতপুর থানাধীন সিএসডি গোডাউনের পূর্ব পাশের নদীর পূর্বপাড় দিয়ে দিঘলিয়া থানাধীন এসআর ইট ভাটার পশ্চিম-দক্ষিণ কর্ণারে নিয়ে যায়। সেখানে রাব্বি ও লিমন জনির হাত ধরে রাখে এবং কালা জনি ব্লেড দিয়ে গলায় পোচ দিয়ে শ্বাসনালী কেটে দেয়। পরে তারা ভৈরব নদীতে জনিকে ফেলে দিয়ে চলে আসে। তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, মোঃ আলমগীরের ছেলে মোঃ জনি (২০) ওরফে কালা জনি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট রাত ৮টার দিকে দৌলতপুর থানাধীন পশ্চিম সেনপাড়ার বাসিন্দা মোঃ মোস্তফা ফরাজীর ছেলে মোঃ জনি ফরাজী (১৮) কে বাড়ির সামনে থেকে ডেকে নিয়ে যায় রাব্বি, লিমন ও কালা জনিসহ অন্যান্যরা। রাতে জনি বাড়ি ফিরে না আসলে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। ৩১ আগস্ট দৌলতপুর তরফদার ঘাট থেকে নিহত জনির লাশ উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। পরে খবর পেয়ে জনির লাশ সনাক্ত করে তার স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহত জনির পিতা মোস্তফা ফরাজী বাদী হয়ে রাব্বি, লিমন ও কালা জনির নাম উল্লেখ এবং ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং-১৮)।