স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে মাঠে নেমেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলীয় কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির একাধিক সভা করে ২৮টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
একাধিক বর্ধিত সভা করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাতে এই কমিটি তুলে দেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। ঐ সভায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মীসভার মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করে তোলা, নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা বিভেদকে সমন্বয় করে নির্বাচনে বিজয় অর্জনের সিদ্ধান্ত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা মহানগরীর ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিটির পরিচিতি ও কর্মীসভা বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় নগরীর বয়রা বাস ষ্ট্যান্ড চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।
সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা ২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। তিনি বলেন, কেসিসি’র নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তালুকদার আব্দুল খালেককে আবারও ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। খুলনাসহ এ অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করতে হলে তালুকদার আব্দুল খালেকের বিকল্প নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলে অর্থ সংস্থান করে দিব, সেই অর্থ দিয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনার উন্নয়ন করবে। তাকে নির্বাচিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাঙ্খিত রূপকল্প বাস্তবায়ন আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।
সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে লাল সবুজের পতাকা দিয়েছেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দিয়েছেন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। দেশের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই আমরা খুলনাকে উন্নত ও শান্তির শহরে পরিণত করতে পারবো। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান করার জন্য খুলনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি তালুকদার আব্দুল খালেক তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আওয়ামী লীগে কোন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের স্থান নেই। তিনি প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোন ছাড় নেই। তিনি আরো বলেন, আধুনিক খুলনা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এযাবতকালের সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছেন। খুলনার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ত্বরান্¦িত করার লক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে।
১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান ইফতেখার চালুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ আনোয়ার হোসেন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক মহিলা কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, নগর যুবলীগের সদস্য রোজী ইসলাম নদী, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জহিরুল আলম রিয়াদ, দপ্তর সম্পাদক মো. আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুম্মান আহমেদ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, হাফেজ মো. শামীম, কাউন্সিলর শেখ মোশাররফ হোসেন, মো. তরিকুল আলম খান, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, শ্রমিক লীগ নেতা মো. মোতালেব হোসেন, রনজিৎ কুমার ঘোষ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ হাওলাদার, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, প্যানেল মেয়র এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, জান্নাতুল ফেরদাউস পিকুল, শরীফ এনামুল কবীর, মো. মোক্তার হোসেন, মো. রুহুল আমিন খান, চ. ম মুজিবুর রহমান, ইউসুফ আলী খান, হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাজী কামাল হোসেন, মো. শওকত হোসেন, মো. শহীদুল হাসান, জিলহজ্ব হাওলাদার, তাজদিকুর রহমান জয়, মো. আমিরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান রাজেসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।