মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের মামলায় গ্রেফতার চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর লালবাগ থানায় করা মামলায় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) সুকান্ত বিশ্বাস তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবু হানিফ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকী আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ডে পাঠান।
লালবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হেলাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল রোববার (২৪ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে চন্দ্র শেখর হালদারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মাউশিতে ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে গত ১৩ মে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা হয়। ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় ১৩ মে বিকেল ৩টায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সুমন জোয়াদ্দার নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে তার মুঠোফোনে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান।