জিম্বাবুয়ের হারারেতে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যয় টাইগারদের। তবে বল হাতে সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা।
শুরুতে দারুণ উজ্জীবিত দেখাচ্ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে; কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা তত চেপে বসেছে টাইগার বোলারদের ওপর। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডই গড়ে ফেললো স্বাগতিকরা। নুরুল হাসান সোহানদের সামনে জয়ের জন্য ২০৬ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারে ৮ রান করলেও দ্বিতীয় ওভারে রোডেশিয়ানরা নিতে পারে মাত্র ৪ রান। প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে উইকেট দেয় জিম্বাবুয়ে। বাঁহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেন রেজিস চাকাভা।
অনেকটা উপরে ওঠা ক্যাচ শান্ত লুফে নিলে মাত্র ৮ রানে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় জিম্বাবুয়ের এই ডানহাতি ওপেনারকে। চাকাভা ফিরলেও মুস্তাফিজের পরের বলেই এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মারেন ক্রেইগ আরভিন। চাকাভাকে হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি জিম্বাবুয়ের। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে মোসাদ্দেকের দ্রুতগতির ডেলিভারি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন আরভিন। জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ২১ রান। এদিকে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দারুণ এক জুটি গড়েন শন উইলিয়ামস এবং মাধেভেরে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন উইলিয়ামস। তাদের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ।
বাঁহাতি এই পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। চারটি চার এবং একটি ছক্কায় ১৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন উইলিয়ামস। বাঁহাতি এই ব্যাটার ফেরার পর দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাধেভেরে। তাসকিনের শর্ট ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর আরও আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন মাধেভেরে।
শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করেন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। মুস্তাফিজের ওভারে ৩ চারে ১৪ নেয়ার পর শরিফুলের ওপর চড়াও হন তারা দুজন। দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯তম ওভারে আসে ১৯ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে মুস্তাফিজের ইয়র্কার লেংথের ডেলিভারিকে দুই রান নিয়ে ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রাজা। এদিকে তিন বল বাকি থাকতে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন ৬৭ রান করা মাধেভেরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে- ২০৫/৩ (২০ ওভার) (আরভিন ২১, চাকাভা ৮, মাধেভেরে ৬৭*, উইলিয়ামস ৩৩, রাজা ৫৬*; মুস্তাফিজ ২/৯, মোসাদ্দেক ১/১৬)