আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও হুয়াওয়ে’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ আগস্ট সোমবার দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিশ^বিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান বলেন, “আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে উন্নয়নের জন্য একটি টেকসই আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের আইসিটি ইকোসিস্টেমে হুয়াওয়ে নানাভাবে অবদান রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি হুয়াওয়ে কুয়েট আইসিটি একাডেমি আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং জ্ঞান অর্জনের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করবে”। কুয়েট ও হুয়াওয়ে’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন। কুয়েট শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে কুয়েটে একটি আইসিটি একাডেমি চালু করবে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। এই চুক্তির অধীনে কুয়েটে একটি বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং হুয়াওয়ে এর নিজস্ব আই-লার্নিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে কুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ট্রেনিং ম্যাটেরিয়াল ও কোর্স প্রদান করবে। এই একাডেমি প্রথমে কুয়েটের শিক্ষকদের হুয়াওয়ের সার্টিফাইড ট্রেইনার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষিত করবে। এরপর আইসিটি একাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক আইসিটি প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের সাথে সম্পর্কিত লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তুত হুয়াওয়ে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। এজন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে আইসিটি বিষয়ে মেধাবী তরুণদের দক্ষ করে তুলতে সরকার ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এ তরুণরাই আগামী দিনে দেশের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আমাদের প্রতিশ্রতির অংশ এই আইসিটি একাডেমি।” উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” ভিশনের বাস্তবায়নকে সামনে রেখে কুয়েট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকান্ড অটোমেশনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও শীর্ষস্থানীয় কোম্পানী সমূহের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় প্রস্তাবিত আইসিটি একাডেমির সমন্বয়কারী হিসেবে কুয়েটের ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দায়িত্ব পালন করছে। অনুষ্ঠানে কুয়েটের ইসিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, হুয়াওয়েই বাংলাদেশ এর এন্টারপ্রাইস একাউন্ট ডিপার্টমেন্টের চ্যানেল ডিরেক্টর জাস্টিন, পি আর ম্যানেজার তৌহিদুল হাসানসহ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।