সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
খুলনায় ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন | চ্যানেল খুলনা

খুলনায় ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল। পদ্মা সেতু না হওয়াতে আমাদের কৃষক সময়মতো মালামাল ঢাকায় নিতে পারেনি। অসুস্থ মানুষকে ফেরির জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠতার কারণে আজকে এই মানুষ দীর্ঘ প্রত্যাশাপূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ এবং তার জন্য দোয়া করি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছাড়া এই সেতু কারও পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। তিনি পদ্মাসেতু করবেন এটা অনেকেই চায়নি। এই সেতু নিয়ে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেটিকে উপেক্ষা করে পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে। এই উপহারটি প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজক।

কেসিসি মেয়র বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জন্য আশীর্বাদ, আত্মমর্যাদা ও অহংকারের প্রতীক। সরকার আসে সরকার যায়। কিন্তু কোন সরকার নিজস্ব অর্থায়নে দায়িত্ব নিয়ে এই সেতু করবে এমন সাহস হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ভুমিকায় আজকের পদ্মা সেতু। এখন আর মানুষকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। উৎপাদিত সবজি, মাছ সরাসরি রাজধানীতে নিতে পারছে। মোংলা, পায়রা সমুদয় বন্দর সচল করা হয়েছে। খুলনার মানুষের কথা চিন্তা করে রূপসা সেতু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করে বিশ্বকে বাংলাদেশের সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে এসব জেলায় সেতু ঘিরে নানারকম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার পরে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে এবং কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী মাসে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, খুলনার নিউজপ্রিন্ট মিলের অভ্যন্তরে ৫০ একর জায়গাতে ৮৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৩০০ মেগাওয়াট কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। যার সুবিধা দ্রুত মিলবে। শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ডেন্টাল কলেজ, ক্যান্সার হাসপাতালে কাজ চলমান। এই অঞ্চলের যতো উন্নয়ন সবই শেখ হাসিনার অবদান।
মেয়র খালেক বলেন, আাগমী প্রজন্মের কাছে এসব বার্তা পৌছে দিতে হবে। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে এসব সম্ভব। তিনি ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করায় গাজী আলাউদ্দিন আহমদকে ধন্যবাদ জানান৷

অনুষ্ঠানে বিশেষ ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পূলক কুমার মন্ডল, গ্রন্থের প্রকাশক সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী।

ফাউন্ডেশনের নগর শাখার সভাপতি ও খুবি’র উপ-পরিচালক গাজী আলাউদ্দিন আহমদ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন। অনুভূতি প্রকাশকালে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে থাকার সময়ে আমার কাছে মনে হয়েছে- এটি রড সিমেন্টের গড়া সেতু নয়, এটি একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। পদ্মাসেতু একটি অর্থনৈতিক দিক। মৌলিক তথ্য, প্রবন্ধ-নিবন্ধ এবং সাক্ষাতকার ও অভিমত এই তিনটি বিষয় এই বইয়ে স্থান পেয়েছে। তথ্য নির্ভর বিষগুলো লেখকদের লেখনীতে ফুঁটে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা এসএম শাহনেওয়াজ আলী। বক্তৃতা করেন খুলনা গেজেট’র যুগ্ম সম্পাদক শেখ দিদারুল আলম৷

অনুষ্ঠানে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান বাবলু’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, দেশ সংযোগ পত্রিকার সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা গেজেট’ নির্বাহী সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু, আইনজীবী ফরিদ আহমেদ, যশোর এমএম কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ড. খ ম রেজাউল ক‌রিম, খুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মামুন উর রশীদ, সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন, হাসান হিমালয়, মাহবুবুর রহমান মুন্না, সুনীল দাস, মোহাম্মদ মিলন, নাগরিক নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার, সরদার আবু তাহের, অধ্যাপক আবুল বাশার, হাসানুর রহমান তানজির, মনিরুল ইসলাম, জাহিদুল সাগর, একরামুল হক লিপু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রন্থে তিন পর্বে ৫২টি প্রতিবেদন, নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকার বা অভিমত প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগুলো হচ্ছে : সম্ভাবনার নতুন অধ্যায়ে বাংলাদেশ, খুলে গেল দখিনের দুয়ার, বাঙালির অহঙ্কার পদ্মা সেতু : শুরু থেকে শেষ, পদ্মার আলোয় আলোকিত মাওয়া থেকে জাজিরা, পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচলের গতিসীমা ৬০ কি.মি., নদীর নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ, উদ্বোধন ২৫ জুন, ভোমরা হবে আমদানী রপ্তানীর সিংহদ্বার, কলকাতা থেকে ঢাকা : কমেছে সময় ও দূরত্ব, দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি উন্নয়নের সিড়ি পদ্মা সেতু, উন্নয়নের মাইলফলক পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু ও পর্যটন সম্ভাবনা : আমাদের সক্ষমতা, এবার স্বপ্ন পৌঁছে যাবে বাড়ি, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব, আমাদের অহংকার, যোগাযোগে পরিবর্তনের পাশাপাশি নিরসন হবে আঞ্চলিক বৈষম্য, রূপসা থেকে পদ্মা, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আধুনিক বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক, পদ্মা সেতু ও দক্ষিণাঞ্চলের নারীজীবন, বঙ্গমাতা, রুবাইয়াতে পদ্মা সেতু ইত্যাদি।

গ্রন্থটিতে যাদের প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার বা অভিমত প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন : উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম মূর্শেদী ও মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, খুবি’র সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, কুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শহীদুর রহমান খান, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: বজলার রহমান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, খুবি প্রফেসর ড. মো: ওয়াসিউল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. নাসিফ আহসান, প্রফেসর ড. তুহিন রায় ও মামুন অর রশিদ, ড. খ. ম. রেজাউল করিম, অধ্যাপক জাফর ইমাম, অধ্যাপক ড. বামুদেব চন্দ্র ঘোষ, উপসচিব ও কনসালটেন্ট এটুআই জিয়াউর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা চেম্বার সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান, শেখ দিদারুল আলম, সানোয়ার পারভেজ ও মোহাম্মদ মিলন, খুলনা বারের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, শিক্ষাবিদ গাজী আবদুল্লাহহেল বাকী, মিনু মমতাজ, এম এ মান্নান বাবলু, আসিফ আলতাফ প্রমুখ।
‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের সম্পাদক গাজী আলাউদ্দিন আহমদ ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোরব ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। খুলনার একজন গণমাধ্যমসেবী হিসেবে তাঁর রয়েছে প্রায় তিন দশকের অভিজ্ঞতা। এ দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজ করেছেন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে। তাঁর একমাত্র বড় ভাই প্রফেসর জালাল উদ্দিন আহমদ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুখ্যাতির সাথে চাকুরি জীবন শেষে অবসর যাপন করছেন।

বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ট্রেজারার মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থটির প্রকাশনার উদ্যোগ গ্রহণ করে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী ও বিশিষ্ট গণমাধ্যমসেবী গাজী আলাউদ্দিন আহমদ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। এতে পদ্মা সেতু নির্মাণের পটভূমি, ইতিহাস, পরিকল্পনা, পরিসংখ্যান, প্রযুক্তিগত বিষয়সমূহ ছাড়াও দেশের অবহেলিত দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এর প্রভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ সচিত্র প্রতিবেদন রয়েছে যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অনুসন্ধানী গবেষক ও সাধারণ পাঠকদের তথ্য প্রাপ্তির উৎস্য হয়ে থাকবে।

https://channelkhulna.tv/

সাহিত্য ও সাংস্কৃতি আরও সংবাদ

খুলনায় ‘তবুও ফু‌টে‌ছে অঞ্জন’ গ্রন্থের প্রকাশনা

চিতলমারীতে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

চিতলমারীতে সাহিত্য আড্ডায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ গুণীজন

খুলনায় ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

আজ কবি সিকান্দার আবু জাফরের ১০৩ তম জন্মদিন : জন্মদিন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।