খুলনার কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৪/১ নম্বর পোল্ডারের চরামুখা এলাকার বাঁধটি আবারও ভেঙে গেছে। এর ফলে অন্তত সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারের চাপে বাঁধের তিনটি স্থানে ভেঙে যায়। এর আগে গত শনিবার দুপুরের জোয়ারে ওই স্থানে ভাঙলেও তাৎক্ষণিক গ্রামবাসী তা মেরামত করে।
এর আগে ১৭ জুলাই ওই এলাকার বাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সে সময় গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় মূল বাঁধের ২০০ মিটার দূর থেকে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয়। পরে সেটি রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্ব নেয় পাউবো।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পাউবোর নিয়োজিত লোকজন নিয়মিত তদারকি না করায় বাঁধ ভেঙে ফের দুর্ভোগে ফেলেছে তাদের।
স্থানীয় দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান জানান, বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো দ্রুত মেরামত করা হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না। এ মুহূর্তে ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে আমনের বীজতলাসহ চিংড়ি ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।
পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউল আবেদীন বলেন, এই মুহূর্তে স্থানীয় নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে জোয়ারের চাপ সামলাতে না পেরে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। এটি মেরামতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম নদীর পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে। সেখানে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন কাজ করছে। একই সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।