খুলনা শিরোমনি এলাকার বাসিন্দা পরিচয় দানকারী এক নারীর হয়রানি ও অবৈধ কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগীরা।
কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, ইরানী পারভীন নামে ওই সুচতুর নারী নিজের আখের গুছাতে ছলচাতুরি করে একের পর এক বিত্তবান পুরুষদের টার্গেটে এনে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণে অর্থ।
ঘটনার বিবরণের প্রকাশ, ওই নারী একজন মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে এবং ইতিপূর্বে কয়েকটি ওষুধ ও ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করায় বিভিন্ন মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণে অর্থ।
কয়েকজন ভুক্তভোগী ইতিমধ্যে তার হয়রানির শিকার হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, তার এসব অনৈতিক কার্যকলাপের সুবিধার্থে ওই নারী মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার পাশাপাশি নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী আবার কখনো আইনজীবী পরিচয় ব্যবহার করেন।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, এসব অনৈতিক কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে তার প্রথম স্বামী সম্পর্ক ছেদ করেছেন অনেক আগেই।
সরজমিনে ওই এলাকায় খোঁজখবর নিতে গেলে তার পিতা কাজী গিয়াস উদ্দিন জানান, আমাদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তার মা মমতাজ বেগমও জানান একই কথা।
ইরানী পারভীনের প্রথম স্বামী ইলিয়াস হোসেন জানান, আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। ছাড়াছাড়ি হয়েছে অনেক আগে। সে এখন কোথায় কি করে আমি জানিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী জানান, স্বদেশ বালা নামে এক কনস্টেবলের সঙ্গে ইরানী পারভীনের বিয়ের কথা শুনেছি ওই কনস্টেবল এখন জেলে রয়েছে।
স্বদেশ বালার স্ত্রী পরিচয়দানকারী শারমিন সুলতানা নামে অন্য এক নারী ইরানি পারভীনের নামে এসব ব্যাপার নিয়ে সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
কয়েকজন ভুক্তভোগীর মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী বিধান ঘোষ ওই নারী সম্পর্কে মন্তব্য করেতে গিয়ে বলেন, ভয়ংকর এক প্রতারক তিনি। চুরি, প্রতারণা, জাল- জালিয়াতি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এমনকি একজন বিচারকের সাথে প্রতারণা করায় ওই বিচারক তাকে তাৎক্ষণিক নয় দিনের জেলে পাঠান।
এ ব্যাপারে ইরানী পারভীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের বিভিন্ন পরিচয় জাহির করে এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।