মোংলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক সংখ্যালঘু ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের উত্তর মালগাজী গ্রামের বাসিন্দা সংখ্যালঘু কৃষ্ণ পদ বিশ্বাসের এক দশমিক ৪৩ একর ও তার আত্মীয় বিনয় রায়ের ৩৩ শতকসহ মোট এক দশমিক ৭৬ একর জমি জোরপূর্বক রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেয়। গত ২০২০ সালে এই জমি রেজিষ্ট্রি করে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত জমির সেই টাকা দেয়নি যুবলীগ নেতা ইস্রাফিল। উল্টো টাকা চাইলে অস্ত্রের মুখে প্রাণ নাশ ও দেশ ত্যাগের হুমকি দেয় সে। শনিবার বেলা ১১ টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী কৃষ্ণ পদ বিশ্বাস। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের বাগেরহাট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি মজুমদার, মোংলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রমেশ মন্ডল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মোংলা শাখার সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডল।
সাংবাকিদের কাছে এ সময় ভুক্তভোগী কৃষ্ণ পদ আরও অভিযোগ করে বলেন, মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালীন যুবলীগ নেতা ইস্রাফিল ওই ইউনিয়নের অনেক সংখ্যালঘু পরিবারের জায়গা ও সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে করে নিয়েছেন। এছাড়া সে এলাকার শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করাসহ এলাকায় নিজস্ব বিশাল ক্যাডার বাহিনী তৈরি করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করতেন। ইস্রাফিল এক সময় শিবির নেতা থেকে কিভাবে যুবলীগ নেতা হলো তা নিয়েও ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সংখ্যালঘু পরিবারসহ স্থানীয় আওয়ালীগ নেতারা প্রশ্ন তোলেন। তার অবৈধভাবে অর্থ বিত্তের মালিক বনে যাওয়া ও বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিম্মি করে টেন্ডার বাণিজ্য করা ইস্রাফিল হাওলাদের বিচার দাবী করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকল সংখ্যালঘুরা।
এ বিষয়ে ইস্রাফিল হাওলাদার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন, হয়রানী ও মানহানীর জন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। টাকা না পেয়ে কি কেউ কেউকে দলিল রেজিষ্ট্রি দেয়! সুতরাং এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না বলে দাবী করেন তিনি।