মঙ্গলবার ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের কমিউনিটি সেন্টারে প্রমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস প্রোগ্রামের অধীনে স্ট্রেংথেনিং অ্যাডভোকেসি ইনিশিয়েটিভস অফ দলিত কমিউনিটি (সেইড) শীর্ষক প্রকল্পের দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও বিবিধ পরিসেবাসমূহে দলিতদের অন্তর্ভূক্তি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এবং ইউএসএইড এর অর্থায়নে প্রকল্পটি ০১ লা এপ্রিল ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ ইং সময়ের জন্য দলিত (সেইড) প্রকল্পটি শুরু করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মতিলাল রাউথ, সভাপতি, ০৫ নং ঘাট হরিজন কলোনী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনা সিটি কর্পোরেশন। এলাকার সুনির্দিষ্ট সমস্যাবলী যুব ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক লিলি রানী দাস উক্ত সভায় উপস্থাপন করেন। এলাকার শিক্ষা, নিরাপত্তা, সুপেয় পানির সংকট, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, মাদক নিরসন, ল্যাম্প পোস্টসহ বিভিন্ন সমস্যাবলী নিরসনের জন্য প্রধান অতিথি জনাব শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন এর সহযোগিতায় একটি এ্যাকশান প্লান তৈরী করা হয়। এছাড়া তিনি অতিসত্তর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই সকল সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও বিবিধ পরিসেবাসমূহে দলিতদের অন্তর্ভূক্তিশীর্ষক আলোচনা সভার মূল লক্ষ্য হল-দলিত জনগোষ্ঠির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আলোচনা সভার মাধ্যমে বিভিন্ন প্লাটফর্মের সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করা, এবং তাদের দৃঢ় কন্ঠস্বর উপস্থাপন ও দলিত সম্প্রদায়ের প্রাপ্ত পরিসেবা সমূহের মান উন্নতকরন। আলোচনা সভাগুলো দলিত ইয়ুথ ফোরামের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে যার মাধ্যমে তাদের কমিউনিটিতে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং নেতৃত্বের গুনাবলী বিকশিত হবে।
আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য হল- চিহ্নিত স্টেকহোল্ডারদের সাথে দলিত প্রতিনিধিদের সম্পর্ক স্থাপন করা। দলিত সম্প্রদায়ের সামগ্রিক অধিকার অদায়ের জন্য সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও উপস্থাপন করা। দলিত জনগোষ্ঠিকে সরকারি পরিসেবাগুলিতে অন্তর্ভূক্তিকরণ ও প্রাপ্ত পরিসেবা সমূহের মান উন্নতকরন।
উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব এস. এম. আল মামুন,সচিব, এইচ এম হেলাল উদ্দিন, কেসিসি সদস্য, মোঃ রিপন হাওলাদার, সহ সভাপতি, সিডিসি ক্লাস্টর, ২১ নং ওয়ার্ড, খুলনা। জ্যোসনা রানী, মিতা রাউথ, তপন বাশফোড়, লিলি রানী দাস, পাপ্পু হাওলাদার, জ্যোতী রানী, ০৫ নং ঘাট ও সদর হসপিটাল নিক্সন মার্কেট।
বিকাশ কুমার দাস, হেড অফ প্রোগ্রাম অফ দলিত এবং লক্ষ্মী দাস, প্রকল্প কর্মকর্তা, অরুন দাস, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর, তারেক সরকার, ভলেন্টিয়ার (সেইড) প্রকল্প, দলিত।
সভায় মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১৫ জন যার মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী।