বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এক বছর পূর্বে গভীররাতে মনির শেখ’কে কুপিয়ে ও গলা কেটে (জবাই করে) হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্তে পিবিআই তৎপর হওয়ায় সম্ভাব্য খুনিরা আত্মগোপন করেছে বলে জানা গেছে। উপজেলার শাসন গ্রামের মৃত মজির শেখের ছেলে মনির শেখ (২৬)’কে গত ১৮/০৯/২০২১ ইং গভীররাতে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা হত্যা করে একই গ্রামের জনৈক তরিকুল চৌধূরীর বাড়ির কাছের রাস্তায় ফেলে রাখে। উক্ত ঘটনায় মনির শেখের আপন ভাই মোঃ কবির শেখের বাদীত্বে সন্দিগ্ধ ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে ২০/০৯/২০২২ ইং মোল্লাহাট থানায় ১১ নং মামলা রুজু হয়।
উক্ত মামলায় ১১ জনকে আটক করে থানা পুলিশ। আটককৃতদের মাঝে ২ জন জামিনে মুক্তি পাওয়ায় বাকি ৯ জন এখনও জেল হাজতে আছেন।
এরপর তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন (পিবিআই), বাগেরহাট।
পিবিআই এর পরিদর্শক উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, অনুসন্ধান/তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার তৎপরতা চালাচ্ছেন। সে মোতাবেক সন্ধিগ্ধ কয়েকজনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। আত্মগোপন করায় তাদেরকে পাওয়া যায় নাই। কর্মকর্তা আরো জানান, সন্দেহাতীতভাবে যাদের খোজা-খবর নেয়া হচ্ছে এমন অন্তত ৭জন আত্মগোপন করছে। এরা হলেন, হোসেন খান, ঠান্ডা খান, সবুজ চৌধূরী, সাইফুল চৌধূরী, মুরছালিম শেখ, হাকিম শেখ ও মহাচ্ছেন ভূইয়া। এদের বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার শাসন, আস্তাইল ও পার্শবর্তী নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামে।
স্থানীয় জিল্লাল শরীফ (৭৫), নাজির শেখ (৬৫), কালন শরীফ (৫০), কামরুল শেখ (৫৫) ও বিল্লাল শরীফ (৬০)সহ অনেকে জানান, পিবিআই কর্মকর্তা/কর্তৃপক্ষ তৎপর হওয়ায় আত্মগোপন করেছে অনেকে। এদের মাঝে শাসন গ্রামের সবুজ চৌধূরী, সাইফুল চৌধূরী, মুরছালিম শেখ, হাকিম শেখ ও মহাচ্ছেন ভূইয়া এবং চাপাইল গ্রামের হোসেন খান ও আস্তাইল গ্রামের ঠান্ডার বাড়ি অভিযান চালিয়েছে পিবিআই। জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের দ্রুত ও যথাযথ বিচার দাবী করেন এসকল ব্যক্তিগণ।