খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। দেশের মানুষ যেমন এটা স্বীকার করছে, তেমনি বিশ্ব সম্প্রদায়ও এর স্বীকৃতি দিয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজটি এতদাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অবিভক্ত বাংলার একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি এই উপমহাদেশে অনেক কাজ করেছেন।
মেয়র আজ (শনিবার) দুপুরে খুলনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী (গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি) অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ এবং একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ হয়েছে। কোন দেশ ও জাতির সামাজিক, অর্থনৈতিক তথা সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। প্রধানমন্ত্রী দেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, খুলনার উন্নয়নের জন্য সরকার ২২শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, যার কাজ চলমান রয়েছে। এই উন্নয়ন কাজ শেষ হলে খুলনা একটি তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে। খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, ক্যান্সার হাসপাতাল, ডেন্টাল কলেজ ও শিশু হাসাপাতল নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। শেখ হাসিনা খুলনার উন্নয়নে সবকিছু দিয়েছেন। খুলনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজটি সরকারিকরণে যা যা করার দরকার সবকিছু করার আশ^াস দেন মেয়র।
খুলনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট এনায়েত আলী, খুলনা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী এবং কেসিসি’র প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু। স্বাগত জানান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসকে এ এম আসাদউল্লাহ। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ আব্দুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ রেহানা বেগম, প্রাক্তন শিক্ষক কাজী ফারুক আহমেদ, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মিনু মমতাজ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এসময় কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং পরিবারের সদস্যসহ ৭৫ জনের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ করেন। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি, স্মৃতিচারণ, সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।