ফকিরহাটে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির অভিযোগে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ২২ জানুয়ারি রবিবার ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ নিজ বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্ল্যেখ করে চাঁদাবাজি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামী এবং একাধীক মামলার আসামী শেখ ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার রায়, মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ২০ জানুয়ারি জাড়িয়া ভট্টখামার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মি এবং আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় ২৩জন প্রার্থী অংশগ্রহন করেন।
পরীক্ষা চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন তিন সাংবাদিক। এসময় তারা নিয়োগ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ শিকদারকে জানায় যে আপনারা অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিচ্ছেন। আমাদের ৫০হাজার টাকা না দিলে এ বিষয়য়ে সংবাদ প্রকাশ করা হবে। তাদের কথায় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজি না হওয়ায় তাকে খবর প্রকাশসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ভয় পেয়ে তাদেরকে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকি ২৫ হাজার টাকা তিন দিনের মধ্যে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করে। যা পরবর্তীতে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশকে অবহিত করেন। এরপর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজ বাদী হয়ে সাংবাদিক শেখ ফারুক হোসেন, মোজাহিদুর রহমান ও এইচ এম নাছির উদ্দিনের নাম উল্ল্যেখ করে একটি চাঁদাবাজি মাামলা করেন। মামলার প্রধান আসামী সাংবাদিক শেখ ফারুক হোসেন (৪৫) কে পুলিশ আটক করেছে।
এ ব্যাপারে ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন মামলার একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দুই আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তধিন রয়েছে।