যশোর পলিটেকনিক এর ৪র্থ বর্ষের মেধাবি ছাত্রী জেসমিন আক্তার পিংকি (১৮) সহপাঠী আহসান কবির অংকুর কর্তৃক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকাল ৩ টার সময় শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের অংকুরদের নিজ বাড়ির সেফটিট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মুল হত্যাকারী আহসান কবির অংকুকে আটক করেছে। এবং জিজ্ঞাসা বাদের জন্য রিংকুর বড় ভাই রুমেল ও সৎ মা হোসনেয়ারাকে আটক করেছে। মুল হত্যাকারী আহসান কবির অংকুর দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের আকবার আলীর ছেলে।
নিহত জেসমিন আক্তার পিংকি কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ই যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
যশোর শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আকিকুর রহমান বলেন, আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিঙ্কির দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসাতে আছে। এ সময়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেফটি ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির লাশটি খুঁজে পায়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীর নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকির ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়।
খুলনা র্যাব-৬ এর যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার স্বীকারোক্তিতে অঙ্কুর নিজ বাড়ীর সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।