শেখ মাহতাব হোসেন :: ডুমুরিয়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের উপযোগী এবং রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না হওয়ায় কৃষকরা বেশি ফলন পেয়েছেন। পাশাপাশি বাজারদর ভালো থাকায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
জানা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি আবাদ হয়েছে। বর্তমানে ডুমুরিয়ার বিস্তীর্ন ফসলের মাঠে শুধু তরমুজ আর তরমুজ। চাষিদের মধ্যে কেউ কেউ জমিতে পরিচর্যার কাজ করছেন। কেউ আবার তরমুজ তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও সরবরাহ করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, চলতি বছর জেলায় ১২হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর বেশি। এবছর ৫লাখ ৫৫ হাজার ৯১৬ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। কৃষকরা বেশি পরিমানে ফলন
পেয়েছেন। তারা আশা করছেন খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হতে পারবেন। ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের কৃষক তরিকুল ও ফরহাদ বলেন, আমরা গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করছি লাভবান হতে পারবো।
আরেক কৃষক রাসেল বলেন, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছে কোনো রোগ বালাই হয়নি। তাই ফলন বেশি পেয়েছি। আশা করছি বাজারদর ভালো থাকবে।
শোভনা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিমা মন্ডল বলেন, এই ইউনিয়নে ৩৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। আর কৃষকরা খুব যত্ন সহকারে গাছের পরিচর্যা করায় সবাই ভালো ফলন পেয়েছেন। এই ফল চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমান বলেন খুলনার ডুমুরিয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি পরিমানে তরমুজের চাষ করা হয়েছে।
আবদের দিক দিয়ে লক্ষ্যমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অল্প সময়ে ও কম খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন। আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করছি। আশা করছি তারা লাভবান হতে পারবে।