ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় এক দিনের কৃষি প্রশিক্ষণ।
সোমবার সকাল ১০টার সময় ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩০ জন কে নিয়ে ১দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড, মোঃ আব্দুল আওয়াল, বিশেষ অতিথি ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালিদ হোসেন, বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা এস এ পি পি পরানজয় মন্ডলসহ ৩০জন কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বেশি শিকার এ দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। এর প্রভাবে দিনদিন উৎপাদনশীল জমি কমে যাচ্ছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততার কারণে এ অঞ্চলের অনেক জমিতে এখন ফসল চাষ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে নিচু জমি তলিয়ে যায়। এতে মৌসুমি ফসল চাষ অনিশ্চয়তায় পড়ে। কাজেই এরূপ জমিকে স্থায়ীভাবে ফসল চাষের আওতায় এনে ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে গেলে সর্জন পদ্ধতি একটি চমৎকার কৌশল হতে পারে। এ পদ্ধতিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সার ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বাড়ানো যায়। বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পড়েছে, তার সাথে খাপ খাইয়ে ফসল উৎপাদন করতে হলে নিচু জমির জন্য এটি এক অভিনব মডেল। কেননা, এর মাধ্যমে নিচু জমিতে পানি চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও লবণাক্ততার প্রভাব মোকাবিলা করে ফসল উৎপাদন করা যায়। এরূপ অবস্থায় অনেক পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা সম্ভব, যার দ্বারা ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা যেতে পারে।প্রশিক্ষণ শেষে ৩০ জন কৃষক কৃষাণীকে ৩০ টি পেয়ারার চারা বিতরণ করেন।