ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী আব্দুল আউয়াল বলেন, “বিগত দিনে যারা মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন তারা নগরীর বেকারদের কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি। যে কারণে প্রতিনিয়ত হাজারো বেকার যুবক নানা রকম অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। যুবকরা পাড়ায় পাড়ায় অবৈধ ব্যবসা সহ কিশোর গ্যাং তৈরি করে নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হলো বেকারত্ব। বিগত দিনে যারা মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছে তারা যুবকদের মনের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন”
আজ (২৫ মে) বৃহস্পতিবার সকালে সিটির দৌলতপুর থানাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসাধারণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল আউয়াল আরো বলেন, আমি বিজয়ী হলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে যাকাত ভিত্তিক অর্থব্যবস্থার যথাযথভাবে কার্যকর ব্যবস্থা করা হবে। যা প্রতিটি নাগরিকের জন্য সুফল বয়ে আনবে। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার যুবশক্তির কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও কৃষি খামার গড়ে তোলার লক্ষ্যে উৎসাহ প্রদান ও নগর অর্থবিভাগ হতে কর্যে হাসানাহ খাতের মাধ্যমে ঋনের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং ফ্রিল্যান্সিং বা ই-ল্যান্সিং ট্রেনিং দিয়ে আয়ের পথ সৃষ্টি করা হবে।
খুলনা সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত হলে বেকারদের কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
অবস্থার পরিবর্তনে হাতপাখা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সৌজন্যে সাক্ষাৎতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিন, সমন্বয়নকারী মুফতি ইমরান হুসাইন,সহ- সমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, অর্থ সমন্বয়নকারী আবু গালিব, সহ সম্বয়নকারী রবিউল ইসলাম তুষার, মিডিয়া সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফেরদৌস গাজী সুমন, গনসংযোগ সমন্বয়কারী মোঃ সাইফুল ইসলাম,সহ-গণসংযোগ সমন্বয়কারী মুহ. মঈন উদ্দিন সহ মিডিয়া সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সহ মিডিয়া সমন্বয়ক এম এ সাদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দৌলতপুর থানা সভাপতি আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আমজাদ হোসেন, আলতাফ হোসেন লিটন, শোয়াইব আহমাদ আলম, রাকিবুল ইসলাম সহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।