বেনাপোল প্রতিনিধি :: যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দপ্তর, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা সিভিল সার্জন, ইউএনও মহোদয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ হলেও অজানা কারণে এখনও রয়েছে বহাল তবিয়তে। কয়েক দফা তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলেও কিভাবে এখনও রয়েছে বহাল তবিয়তে সে ব্যাপারে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে নিজেকে ধোঁয়া তুলশি পাতা সাজাতে স্বাস্থ্য দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে ছুটে চলেছে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী।
২০২০ সালের ১৮ ফেরুয়ারী শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণ শুরু করেন। সেই সাথে একের পর এক অসংখ্য অনিয়ম-দূর্নীতি করলেও চাকরী হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অবশেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় সাহস নিয়ে সবাই মিলে প্রতিবাদ করলে দূর্নীতির বেড়াজালে আটকে গেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। গত ১১ এপ্রিল অশালীন আচরণ ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দপ্তর, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা সিভিল সার্জন, ইউএনও মহোদয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ১৩২জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ৩ দফা তদন্ত শেষে বেরিয়ে আসছে সব দূর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে একাধিক অভিযোগ প্রমানিত হলেও কিভাবে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী।
এব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সহকারী পরিচালক ডাক্তার আক্তারুজ্জামান বলেন, তদন্তে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও অনিয়ম-দুর্নীতির
অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় লিখিত আকারে পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।