চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ পুঁজিবাজারে দরপতন টানা ষষ্ঠ দিনে গড়াল। অব্যাহত দরপতনের কারণে গত ৬ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১৭২ পয়েন্ট। এ সময়ে প্রতিদিনই শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর বাজার মূলধন হারিয়েছে ১২ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
অব্যাহত দরপতন হওয়ায় বুধবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে। একই অবস্থা অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের দৃশ্যমান কোনো কারণ নেই। কেন দরপতন হচ্ছে এ বিষয়টি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিৎ। তাদের মতে, টানা দরপতনের কারণে পুঁজিবাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা দিনদিন আরও কমে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি পুঁজিবাজার বিমুখ হয়ে পড়বে। যা দেশের অর্থনীতির প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এদিকে বুধবার ডিএসইতে ৩৫১টি কোম্পানির ৯ কোটি ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৭০টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ১৬৬ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টি কোম্পানির শেয়ার। এদিন ডিএসইতে ৩৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৮৬ পয়েন্ট, ডিএস ৩০ মূল্য সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৫১টি কোম্পানির ৫৩ লাখ ২০ হাজার ৫১৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৯টির কমেছে ১২৯টির এবং ৩৩টির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৯ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২১৩ পয়েন্টে নেমে আসে। দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনে পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা টাকা।