সাতক্ষীরাসহ গোটা উপকূলীয় জনপদে ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম রাহবার, সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অগণিত আলেমের ওস্তাদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল (৯২) এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন-কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, টিম সদস্য মাওলানা মশিউর রহমান ও মাস্টার শফিকুল আলম। কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন ও সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, বাগেরহাট জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করীম ও সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. তৌহিদুর রহমান ও সেক্রেটারি মো. আমিরুল ইসলাম।
এক যৌথ শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম রাহবার মাওলানা আব্দুল খালেক কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের প্রিজন সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৫ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার লাশ হস্তান্তরের পরে জানাজা ও দাফনের সিদ্ধান্ত হবে ইনশাআল্লাহ।
এ যৌথ শোকবার্তায় সাবেক জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক এর ইসলামী আন্দোলনে অনবদ্য অবদান ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা স্মরণ করেন তারা। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, উপকুলীয় অঞ্চলের এই ভূখন্ডে ইসলামের সু-মহান আদর্শের ভিত্তিতে ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে তার ত্যাগ ও অবদান ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আজীবনের এই দা’য়ী ইলাল্লাহ জামায়াতে ইসলামীর কঠিনতম সময়ের কান্ডারী। আমাদের জন্য রেখে গেলেন অনেক শিক্ষা এবং উদাহরণ। রাব্বুল আলামীন তাঁর এই গোলামের তামাম জিন্দেগীর সমস্ত ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে নেকিতে পরিণত করে দিন। তাঁর নেক আমলগুলো কবুল করুন। শহীদ হিসেবে কবুল করে তাকে সম্মানিত করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। মহান রবের কাছে আবেগ ও বুকভরা আকুতি। শোকবার্তায় মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তার শ^শুরকে গ্রেফতারের পর ২০১৮ সালের ৫ মার্চ তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। গ্রেফতারের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জালিমের কারাগারে ছিলেন।