অনলাইন ডেস্কঃব্যাটারি চালিত রিক্সার চালক ও মালিকদের ব্যাটারি খোলার বেঁধে দেয়া সময় শেষ হতে বাকী আর আছে মাত্র চারদিন। আগামী ৩০ জুন ব্যাটারি খোলার সময় শেষ হচ্ছে। কিন্তু কেসিসি’র বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে রিক্সা থেকে ব্যাটারি খোলায় তেমন কোন সাড়া মিলছে না। তারা ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগর জুড়ে।
আগামী পহেলা জুলাই থেকে নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিক্সামুক্ত ঘোষণা করবেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। ৩০ জুন পর্যন্ত নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিক্সার মালিকদের ব্যাপারে আল্টিমেটাম দিয়েছেন মেয়র। এ সময়ের মধ্যে মালিকদের ব্যাটারি অপসারণ করতে হবে, নতুবা নগরীতে রিক্সা চালাতে পারবে না। মহানগর আ’লীগের একাধিক সভায় মেয়র তার বক্তব্যে রিক্সা থেকে ব্যাটারি ৩০ জুনের মধ্যে খুলে ফেলার ব্যাপারে স্পষ্ট করেছেন।
এ ব্যাপারে নগরীর গোবরচাকা নবীনগর এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, তিনি পেশায় একজন রিক্সা চালক। তার রিক্সায় ব্যাটারি রয়েছে। তিনি একটি রিক্সা নিজ হেফাজতে রেখে চালান। ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাটারি খোলার জন্য কেসিসি সময় বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু এখনও খোলেননি। তিনি বলেন, মেইন সড়ক দিয়ে যারা চালাবে তারা ব্যাটারি ছাড়াই চালাবে। তবে অলি গলি দিয়ে ব্যাটারি চালিত রিক্সা থাকবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ সময় শেষ হতে চললেও কেউই রিক্সার ব্যাটারি খোলেননি।
কেসিসি’র সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার ফারুখ হোসেন তালুকদার বলেন, নগরীতে কাগজে কলমে ১৭ হাজার লাইসেন্সধারী রিক্সা রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ হাজার ৮শ’ ৩৬টি রিক্সার লাইসেন্স নবায়ন করা হয়। তিনি বলেন, রিক্সা থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলার জন্য নগরীতে চলছে মাইকিং। এখানে রিক্সা, বক্স ভ্যান ও ক্যারেজ ভ্যানের ব্যাটারি খুলে ফেলতে বলা হয়েছে।
এদিকে গত ৬ মার্চ সড়ক পরিবহন ও মহাসড় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আঃ মালেকের সভাপতিত্বে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলের ব্যাপারে নীতিমালা তৈরিকরণ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যাটারি চালিত রিক্সার ব্যাপারে নানা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, ব্যাটারি চালিত রিক্সা অনিরাপদ, তাই কোন অবস্থাতেই জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও জেলা মহাসড়কসহ কোন সড়কে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলকে বৈধতা প্রদান করা হবে না। তাই ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলের ব্যাপারে কোন নীতিমালা করার প্রয়োজন নেই।
কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, জুলাই মাসে রিক্সার লাইসেন্স নবায়ন করা হবে তবে ব্যাটারি চালিত রিক্সা নয়। এ জন্য তাদের আর সময় দেয়া সম্ভব নয়। তাদের ব্যাটারি খোলার জন্য অনেক সময় দেয়া হয়েছে। ৩০ জুনের পর রিক্সা বন্ধের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। বলা হয়েছে রিক্সা চলবে, তবে তা ব্যাটারি ছাড়া। যেসব রিক্সায় ব্যাটারি রয়েছে তা খুলে ফেলার জন্য আবারও তাগিদ দেন নগর পিতা। সুত্র-দৈনিক সময়ের খবর