বাণিজ্যিকভাবে ওলের চাষ করছেন ডুমুরিয়ার কৃষকেরাডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছেন বাণিজ্যিক ভাবে ওল চাষের দিকে। উপজেলার কৃষকদের অর্থকারী ফসল হিসেবে ওল সহ কৃষকরা এখন সব রকম ফসল আবাদ করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার ৮০ হেক্টর জমিতে উন্নত মানের ওল চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ওলকচু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তারা কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ও মাদ্রাজী জাতের উচ্চ ফলনশীল ওলকচু চাষ করে আসছেন। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি ওই গ্রামের কৃষকরা। শুরুতে স্থানীয় কৃষি অফিসের মাধ্যমে ওলকচুর বীজ সংগ্রহ করলেও এখন তারা নিজেরাই বীজ উৎপাদন করে এটির চাষ করে থাকেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা ৮০ হেক্টর জমিতে ওল চাষ করেছেন। তিনি আরো বলেন, এই অঞ্চলে ওল চাষ ভালো হয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে কৃষকরা ওল চাষ করতেন না। আমাদের কৃষি বিভাগ বর্তমান উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের হাতে কলমে ওল চাষ করতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে ওলচাষ শুরু করেছে। কন্দাল জাতীয় সবজি নিরাপদ, বিষমুক্ত উচ্চমূলে্যর একটি সবজি। এই সবজি সহজেই রপ্তানি করা সম্ভব। বৈদশিক মুদ্রা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এই কন্দাল জাতীয় সবজি উৎপাদন করে।
উপজেলার খর্নিয়া এলার ওল চাষী আবু হানিফ মোড়ল জানান, আমরা ওল চাষ বুঝতাম না, কিভাবে আবাদ করতে হয়, নিয়ম কারণ জানা ছিল না বর্তমানে আমি কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন স্যারের পরামর্শ ওলের আবাদ করেছি। চলতি বছরে ৩০ শতক জমিত ওল কচুর চাষ করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ করছি।
এদিকে কৃষি বিভাগের উপসহকারী মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, ভালো পরিচর্যা হলে ১টি ওল সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজনের হয়। আর বাজারে এর দামও থাকে ভালো। ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ওল বিক্রি হয়। সরেজমিনে ডুমুরিয়া উপজেলায় ওলের বাম্পার ফলন দেখা গেছে।