শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে মাঠে মাঠে এখন আমন ধান ক্ষেত পরিচর্যা ও সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আমন ক্ষেতে সময় দিচ্ছেন তারা। ডুমুরিয়া অঞ্চলে রোপাআমন ধানের চারা রোপনের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে জানাগেছে। এখন ডুমুরিয়া অঞ্চলের মাঠের পর মাঠ, যে দিকে চোখ যায়, সে দিকে দেখা যাচ্ছে কচি সবুজ, উঠতি বয়সেরআমন ধানের চাষ।
সরেজমিনে ডুমুরিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়- কৃষকেরা কেউ সার-কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কেউবা আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার জমিতে পানি সেচের কাজে ব্যস্ত। এই দৃশ্য দেখে মনে হলো, কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল ভালোভাবে ফলাতে দম ফেলানোর সময় নেই তাদের।
খর্নিয়া ইউনিয়ানের টিপনাগ্রামের বাবর আলী সরদার বলেন, আমি প্রায় ২বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করিছি। ধানের জমি থেকে আগাছা পরিস্কার করা শেষ হয়েছে। এখন ধান ক্ষেতে সার প্রয়োগ করছি। চারা গাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। তবে, পোকার আক্রমন বেশি দেখা যাচ্ছে। এতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও ভালো ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।
ডুমুরিয়া অঞ্চলের বরাতিয়া গ্রামের আবু তালেব বলেন, বরাতিয়ার মাঠে কিছু কিছু জমিতে আগেআমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন চারার আগাছা পরিষ্কার শেষ করে সার প্রয়োগের কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমাদের এই সোনালী ফসল ঘরে তুলার আগ পর্যন্ত ব্যস্ততা থাকবে।
গোনালী গ্রামের কৃষক ইউনুচ আলী বলেন, আমরা সাধারণত কৃষির ওপর নীর্ভরশীল, তাই এই আমন আবাদের পুরো সময় আমাদের ভালো ফলনের আশায় পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতে হয়।
স্থানীয় কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুমে ডুমুরিয়া অঞ্চলে বেশি ফলনশীল ব্রি ধান২৩,ও১১ জাতের ধান জমিতে রোপন করেছেন কৃষকরা। এজন্য ভালো ফলনসহ লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ হবে এটায় আশা করছি।
কৃষিবিদরা আরও জানান, কৃষকেরা মনপ্রান দিয়ে জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করছেন এবং নিয়মিতভাবে তারা পরিচর্যার কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে প্রাকৃতিকভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার আগে তারা ফসল ঘরে তুলতে পারেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে- চলতি বছর ডুমুরিয়া অঞ্চলে আমন আবাদে বি আর ১০.১১.২২,ও ২৩ ব্রিধান ৩০,৭৫,৮৭, ও ৪৯ জাতের ধান আবাদ করেছেন কৃষকেরা।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এখন আমন ধান ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। আমন চাষ আবাদে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করছি আমরা। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মৌসুমে আমন চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।