খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস চত্বরে হাঁটু পানি ও নিচু অঞ্চল তলিয়া গেছে এছাড়া ডাকাতিয়ার বিল বিল খুকশিয়া, সিঙ্গার বিল সহ লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি পানিতে ডুবে গেছে এতে করে সবজি চাষীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
আকাশ বন্যায় ডুবেছে নিম্নাঞ্চলের সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতের গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় উঁচু জমির সবজি ক্ষেতও মরে যাচ্ছে।ডুমুরিয়ার বিল শিংগার সবজি চাষী ফারুক হোসেন জানান,, আগামী এক দেড় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ অঞ্চলের সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কারণ দক্ষিণ অঞ্চলের সব সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতদিন ডুমুরিয়ার থেকে সারাদেশে সবজি যেত, এখন যে সব জেলায় বন্যা হয়নি সেখান থেকে সবজি আনতে হবে।
ডুমুরিয়াসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় খবর নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে আকাশ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুমুরিয়া। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন ডুমুরিয়া ৯৬ নব্বই, হেক্টর জমিতে আকাশ বণ্যান আক্রান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলার অনেক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার মাছ ঘের থেকে বেরিয়ে গেছে।আমি এখন ফিল্ডে আছি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকা থেকে খোঁজখবর নিয়ে আপনাদেরকে জানানো হবে।
কাচা মালের আড়ত দার ওবায়দুল বলেন, ডাকাতিয়ার বিল,খড়িয়ায়ার বিল, শিংগার বিলে , করলা, চালকুমড়া চাষ করেছিলেন সেগুলো পানিতে ডুবে গেছে। যেখানেআকাশ বন্যার পানি ওঠেনি সেখানে অতিবৃষ্টির কারণে সবজি গাছের গোড়া পচে গাছ মারা যাচ্ছে।
রোপা আমন ও আউশ ধানের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তবে সবজির ক্ষতি বেশি হতে পারে। ডুমুরিয়া উপজেলার কাচা মাল আড়তের আড়ৎদার মো. আনিছুর রহমান বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলে অধিকাংশ এলাকায় আকাশ বন্যার পানি ওঠার কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকে তরিঘড়ি করে সবজি তুলে বাজারে নিয়ে আসছে। ফলে মোকামে সবজির দাম কিছুটা কম। তবে দেড় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম দ্বিগুণ হবে। তিনি বলেন, বুধবার বাজারে পটল প্রতিকেজি ২৪টাকা, পেপে ২০ টাকা, কাকরোল ২০/৩০ টাকা, চিচিংগা ২৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ২০ টাকা, পানিলাউ ৩০টাকা, মিষ্টি কুমড়া (মাঝারি সাইজ) ৩০/৪০ টাকা, জালি কুমড়া ১৫/১৬ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।