এক দশকের মধ্যে শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শাসক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার পরপরই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ধারণা করা হচ্ছে এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
সবশেষ তেলআবিব জানিয়েছে, এ পর্যন্ত হামাসের সশস্ত্র হামলায় সাত শতাধিক ইসরায়েলি নাগরিক ও সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আড়াই হাজার নাগরিক। অন্যদিকে, হামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানো হয়েছে হামাসের ১০টি ভবনসহ ৪২৬টি লক্ষ্যবস্তুতে। খবর সিএনএন।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা আরও বাড়বে। এই অবস্থায় অনেক সাধারণ ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। হামাসের রকেট হামলার বিষয়ে তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একপক্ষে একে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সম্মানজনক জয় হিসেবে দেখছে। অন্যপক্ষ ইসরায়েলের ভয়াবহ পাল্টা হামলার আশঙ্কায় রয়েছে।
ঘনবসতিপূর্ণ গাজার মাত্র ১৪০ বর্গমাইল এলাকায় প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস। বিমান হামলা থেকে বাঁচার জন্যে মাটির নিচে তাদের জন্য কোন নিরাপদ ব্যাঙ্কারের ব্যবস্থা নেই। তাদের কেউ কেউ যদিও বাসস্থান ছেড়ে দূরে কোথাও গিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয় তবে সেখান থেকে তাদের নিজেদের প্রিয়জনের মৃত্যু আর ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সাক্ষী হয়ে থাকতে হবে।