খুলনার পাইকগাছার সরল বাজারস্থ জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ সদস্যরা এবার তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। বুধবার দুপরে ৩শতাধিক সদস্যের স্বাক্ষরিত অভিযোগ ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন বরাবর প্রদান করা হয়। এর আগে টাকা ফেরত পেতে শত শত ভুক্তভোগী সদস্যরা সমিতি কার্যালয় ঘেরাও ও ইউএনওর কার্যালয়ে সমবেত হয়।
বর্তমানে সমিতির নিকট প্রায় ১হাজার গ্রাহকের ৫কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সদস্য বা গ্রাহকরা। উল্লেখ্য পৌরসভার সরল বাজারে অবস্থিত জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি তাদের গতিশীল কার্যক্রমে দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এর ফলে এলাকার শ্রমজীবি, দিনমজুর ও ব্যবসায়ী সহ সর্বস্তরের মানুষ জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে তাদের কষ্টের উপার্জিত অর্থ জমা রাখে।
অনেকেই সাধারণ সঞ্চয়, কেউ কেউ ডিপিএস আবার একটু স্বচ্ছল ব্যক্তিরা এফডিআর হিসেবে সমিতিতে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ কিংবা সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ সদস্যের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তাদের টাকা ফেরত দিতে ব্যার্থ হয় সমিতি কতৃপক্ষ। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সমিতি কতৃপক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন তাল বাহানা করতে থাকলে কয়েকশো গ্রাহক ৮মে সমিতি কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় সমিতির নির্বাহী পরিচালক কাউন্সিলর আলাউদ্দীন গাজী ও সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী গ্রাহকদের নিকট থেকে ৬মাসের সময় নেয়। নিদৃষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা দিতে ব্যার্থ হওয়ায় পরবর্তীতে শত শত গ্রাহকরা ৯ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সমবেত হয়ে টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বুধবার পুনরায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ইউএনও’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ইসরাউল ইসলাম জানান সমিতির নিকট আমি ২লাখ ৬৩হাজার টাকা পাইবো। টাকা ফেরত না দেওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। সমিতি কতৃপক্ষ সমিতি কার্যালয় তালাবদ্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছে। অনেকটাই নিরুপায় হয়ে সদস্যদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। টাকা ফেরত পেলে অসহায় গ্রাহকরা অনেক উপকৃত হবে বলে জানান মৎস্য আড়ৎদারি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন।