এলাকা উপযোগী আমন ধানের জাত নির্বাচনের লক্ষ্যে খুলনার বটিয়াঘাটায় অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী কৃষক মাঠ দিবস। মিজরি ও জার্মানীর সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এবং গঙ্গারামপুর কৃষক সংগঠনের আয়োজনে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ১০৮ জাতের ধান গবেষণা প্লটে ধানের র্যাংকিং শেষে গঙ্গারামপুর স্টার ইউনিট ক্লাব মাঠে কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ম-লের সভাপতিত্বে এবং লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বটিয়াঘাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আবু বকর সিদ্দীক, সাংবাদিক শেখ আব্দুল হামিদ এবং সাংবাদিক রিংটন ম-ল বক্তব্য রাখেন।
মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কৃষক প্রতিনিধি দিপ্তী ম-ল, মো: ফজলুর রহমান লাভলু, আশালতা ঢালী, আরুণি সরকার, হিরণ¥য় ম-ল, সন্দীপ দাশ, আশিষ ম-ল, মৃন্ময় রায়, বন্দনা রায়, দিপক ম-ল, অপূর্ব ম-ল অপু, চন্দনা সরকার ও লোকজ-এর সমন্বয়কারী প্রমুখঃ। মাঠ দিবসের কর্মসূচিতে বটিয়াঘাটা সদর, গঙ্গারামপুর, সুরখালী ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নের ৩০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারীরা আমন ধানের জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ১০৮ প্রজাতির স্থানীয় প্রজাতির ধানের পিভিএস প্লট পরিদর্শন করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এলাকা উপযোগী ২১টি ধানের জাত নির্বাচন করেন। প্লটের ১০৮ জাতের আমন ধানের মধ্যে নির্বাচিত জাতগুলোর হলো: চরবলেশ্বর, স্বর্ণা, কালোজিরা, খেজুরছড়ি, বাঁশফুল বালাম, লিলি, হরিধান, রুপেশ্বর, আঁশফল, জেসমিন, বৌসোহাগী, ডাকশাইল, পঙ্খীরাজ, সাদা চিনিকানাই, হোগলা, সাগরফনা, রানী স্যালোট। এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে লোকজ ধান, আলোধান, আরুণি ধান, গঙ্গাধান কৃষকরা বেশি পচ্ছন্দ করেছেন।
স্থানীয় ধানগুলোকে আমাদের বীজ নিরাপত্তার জন্য রাখতে হবে। স্থানীয় ধানবীজ বিতরণের মাধ্যমে সংরক্ষিত ১০৮ প্রজাতির ধান সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখায় স্থানীয় কৃষক ও অতিথিরা লোকজ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।