খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলায় বোরো ধানের সমলয় জমিতে বীজতলা তৈরি ও বীজ সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষক। এদিকে সমলয় ফসলি জমিতে বোরো ও শীত থেকে চারা সুরক্ষায় বীজ বপনের এটাই উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, বর্তমান আবহাওয়া বোরো বীজ বপনের উপযোগী থাকায় উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের কৃষকেরা বীজতলা তৈরি ও বীজ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ডুমুরিয়া বাজারের মেসার্স কৃষি ভান্ডার সহ বীজ দোকানগুলোতে দিনের প্রায় সময়ই কৃষকদের ভিড় লেগে আছে।
স্থানীয বাজারে কৃষি বীজ সার বিক্রির দোকানীরা জানান, চলতি শীতে কৃষকেরা কোনো প্রকার ঝুঁকি না নিয়ে বরো আমানের বীজতলা তৈরি করছেন। এ জন্য তাঁরা বাজার থেকে ভালো মানের বীজ ক্রয় করছেন।
কৃষকেরা জানান, ইরি-বোরোর বীজ বপনের সময় আরও কিছুটা হাতে থাকলেও ধান বীজতলা তৈরির কাজটা এবার আগেভাগেই শুরু করেছেন। কারণ বিগত দিনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশা হয়।
এ সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে অপরিপক্ব বোরো ধানের চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়। নষ্ট হয় বীজতলার চারাগাছ। চারা সংকটে ইরি-বোরো রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। তাই এবার একটু আগাম বীজ বপন করছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর বন্যা না হওয়ায় এক ফসলি বোরো জমিতে আমন চাষ হয়েছে। তাই বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার সঠিক হিসাব নির্ধারণে মাঠে কাজ করছেন কৃষি অফিসের উপ পরিচালক শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুণা মন্ডলসহ কৃষক ও কৃষণী উপস্থিত ছিলেন। তবে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা বেশি হবে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, আগাম বীজ বপনে শীতের আগে বীজতলার চারা সবল হয়ে উঠবে। এতে ঘন শীতেও চারার ক্ষতি করতে পারবে না। কৃষি অফিস থেকে আদর্শ বীজতলা তৈরিসহ ভালো জাতের বীজ সংগ্রহের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে চাষ করলে এতে কৃষকেরা বৈশাখের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। ফলে চাষি বা কৃষকেরা লাভবান হবেন।