ইমদাদুল হক:: সংস্কার করার পর বদলে গেছে পাইকগাছার লস্কর ও গড়ইখালী ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ আলমতলা গড়ইখালী সড়ক। সড়কটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে যাতায়াতে এলাকার মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নতুন করে কার্পেটিং করায় বদলে গেছে সড়কের জরাজীর্ণ চিত্র। সংস্কারের ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।
উল্লেখ্য পাইকগাছা কয়রা প্রধান সড়কের আলমতলা চর মসজিদের মোড় থেকে আলমতলা, বাইনতলা, খড়িয়া, মিনহাজ, বাসখালী ও গড়ইখালী বাজার পর্যন্ত একটি সড়ক রয়েছে। এখান থেকে সড়কটি সুন্দরবন এবং কয়রা অভিমুখে সহ বিভিন্ন দিকে চলে গিয়েছে। এ সড়ক দিয়ে লস্কর এবং গড়ইখালী ইউনিয়নে বেশির ভাগ মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
এছাড়া অত্র সড়ক দিয়ে সুন্দরবনের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ও চলাচল করে থাকে। সড়কটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কের পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়। এতে মালবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করলেও এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ হয়। অবশেষে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে সড়কটি নতুন করে কার্পেটিং করার মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন (সিএএফডিআরআইআরপি) প্রকল্পের আওতায় পূর্ব খড়িয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুন্দ বাবুর বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে গড়ইখালী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হয়েছে।
সড়কটির নাম দেয়া হয়েছে আলমতলা (চরমসজিদ) আর এইচডি গড়ইখালী জিসি সড়ক। সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। সংস্কার কাজ করছে শহিদুল ইসলাম সোহেল এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম আর ট্রেডার্স। সংস্কার কাজ তদারকি করছেন উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এলজিইডি’র এ কর্মকর্তা বলেন সড়কটি নতুন করে ৪০ মিলি ডেন্স কার্পেটিং করা হয়েছে। সংস্কার কাজে পেপার মেশিন, স্টীল এবং টায়ার রুলার ব্যবহার করা হয়েছে। বিটুমিন কন্টেন্ট খুবই ভালো এবং কাজের গুণগত মান যথেষ্ট সন্তোষজনক। উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব বলেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগে সড়কটি জরাজীর্ণ ছিল, এ কারণে সড়কে চলাচল করতে খুব সমস্যা হতো। সংস্কার করার পর সড়কটি খুব সুন্দর হয়েছে। এখন থেকে খুব সহজেই মালবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সংস্কার করার পর সড়কটি নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে জানান গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু।
তিনি বলেন সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে গড়ইখালী ইউনিয়নের মানুষ। এখানকার তরমুজ সহ কৃষি পণ্য সরবরাহ করা খুব সহজ হবে স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন এটি অত্র এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটি সংস্কার করায় লস্কর এবং গড়ইখালী ইউনিয়ন হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে। সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটকসহ মৎস্য ও কৃষি পণ্য সরবরাহ সহজ হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে সড়কটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী এ কর্মকর্তা জানান।