যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে দেড়শ বিঘা জমিতে সমলয়ে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিকভাবে সমলয়ে বোরো ধানের চাষাবাদ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ,ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নূরুল আলমের সভাপতিত্বে ডুমুরিয়া উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, সমলয় পদ্ধতির চাষাবাদে বীজতলা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই পর্যন্ত যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। এই চাষাবাদে কম খরচে কৃষক অধিক পরিমাণ ধান উৎপাদন করতে পারবেন। ধানের অধিক ফলনে কৃষকও লাভবান হবেন। এই চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশ খাদ্য উৎপাদনে আরো সমৃদ্ধ হবে।
একটি বিশেষ অটোমেটিক কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রেতে বীজ বপন করা হয়। ট্রেতে চারা বপনের যন্ত্রের তিনটি চেম্বর থাকে। প্রথম চেম্বারে ঝুরঝুরে মাটি দেওয়া হয়। মেশিনের মাধ্যমে মাটি সরাসরি পরিমাণমত ট্রেতে পড়ে। দ্বিতীয় চেম্বারে অঙ্কুরিত বীজ দেওয়া হয়। সেই বীজও মেশিনের মাধ্যমে সঠিক পরিমাণে ট্রে-তে পড়ে। সর্বশেষ তৃতীয় চেম্বারে আবার ঝুরঝুরে মাটি দেওয়া হয়। সেই মাটিও মেশিনের মাধ্যমে বীজসহ ট্রেতে পড়ে বীজগুলো ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর ট্রেগুলো জমিতে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। মাটি যেন শুকিয়ে না যায় সেজন্য পানি স্প্রে করা হয়। শীতে ট্রের চারার যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
চারার উচ্চতা চার ইঞ্চি হলে বা চারার বয়স ২০-২৫ দিন হলে তা জমিতে রোপণ করার উপযোগী হয়। ট্রে-তে চারা উৎপাদনে জমির অপচয়ও কম। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। ফলে ফলনও বাড়বে। রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে ও কৃষকরা তা ঘরেও তুলতে পারবেন।
আরো বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, বি সার্কেল, খুলনা,এস এ পি পি পরানজয় মন্ডল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুণা মন্ডল, ও সমলয়ের ১০০ জন কৃষক ওকৃশাণী উপস্থিত ছিলেন।