একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ছিলেন ড. রেজওয়ান সিদ্দিকী। সাংবাদিকতার সব অঙ্গনে তার বিচরণ ছিল অনন্য। তিনি ১৯৭২ সালে ছাত্র অবস্থায় দৈনিক বাংলার প্রুফ রিডার হয়ে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। এরপর সিনিয়র সহাকরী সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে দৈনিক বাংলা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি দৈনিক দিনকালের বার্তা সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দৈনিক দিনকালের ভাপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিকতা পাশাপাশি তিনি শিশু সাহিত্য, কবিত এবং প্রবন্ধ লেখক ছিলেন। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিউিটের মহাপরিচালকের পদে যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন নিরহংকার মানুষ ছিলেন ড. রেজওয়ান সিদ্দিকী। সততা ছিল তার অহংকার। দেশের বিভিন্ন ক্রান্তি লগ্নে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় সমসায়িক বিষয় নিয়ে উপ-সম্পাদকীয় লিখতেন। তার আদর্শ পরিপন্থিরাও তার লেখা নিয়ে কটাক্ষ করতে পারেন নি। গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের বিষয় তিনি ছিলেন আপোসহীন। তার সঙ্গে ছিল অমায়িক ব্যবহার। আর শত কষ্টের মধ্যে তার হাস্যোজ্জ্বল মুখ ছিল অনন্য। বলতে গেলে পরিপূর্ণ ভদ্র মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তার মৃত্যুতে দেশ একজন গুণী লেখককে হারালো। যা পূরণ হওয়ার নয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে বেলা ১১টায় দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বিশিষ্ট লেখক, সংবাদ বিশ্লেষক, কলামিস্ট মরহুম ড. রেজওয়ান সিদ্দিকীর স্মরণে এক শোক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
দৈনিক দিনকালের খুলনা ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার সোহরাব হাসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু। প্রধান বক্তা ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম।
সভায় অতিথি এবং উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এনটিভি খুলনা ব্যুরো প্রধান আবু তৈয়ব, শিক্ষক নেতা অধ্যাপাত মনিরুল হক বাবুল, বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবীর বাবুল, সাংবাদিক খলিলুর রহমান সুমন, ফকির শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা দীর্ঘ কর্মজীবনে ড. রেজওয়ান সিদ্দিকীর সঙ্গে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন। পরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে সভা শেষ হয়। গত ১৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ড. রেজওয়ান সিদ্দিকী ইন্তেকাল করেন।