আমাদের সংবিধান প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার দিয়েছে। যেখানে নারী বা পুরুষ আলাদা করে বিবেচনা করা হয়নি। সমাজকে পাল্টানোর দায়িত্ব জয়িতাদের। জয়িতারা জীবন সংগ্রামে জয়ী হবেই। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মাননা প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে বাগেরহাটের সুমা মন্ডল, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ঝিনাইদহের মোছাঃ জেসমিন নাহার কামনা, সফল জননী ক্যাটাগরিতে কুষ্টিয়ার চন্দনা রানী কুন্ডু, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা সাতক্ষীরার রেহেনা পারভীন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার প্রত্যেককে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে রানারআপ ও বিভাগের ১০ জেলা থেকে নির্বাচিত জয়িতাদের সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জয়িতা হলো সংগ্রামী নারী, জয়িতা হলো বিজয়ী নারী, জয়িতা হলো যে সবসময় স্বপ্ন দেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। মেয়েদের জন্য সমাজে নিজস্ব সত্ত্বা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন একটি বিষয়। আমাদের সমাজে মেয়েরা যখন সংগ্রাম করে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করছে, সেই সময় আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নারীদের জয়িতা বলে সম্মান দিলেন। দেশব্যাপী জয়িতা অন্বেষণে শেষ পর্যন্ত পাঁচজন জয়িতা বিজয়ী হন। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় যে আলোড়ন বা জাগরণ সৃষ্টি হয় তা নারীদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পথপ্রদর্শকের মতো কাজ করে। তিনি আরও বলেন, সমাজে নারীর জন্য সমান অধিকারের জায়গাটা যেন প্রশস্ত হয়। নারী বা পুরুষ কেউ কারো চাইতে আলাদা নয়।
জেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।