গাজা উপত্যকায় বর্বর হামলা বন্ধে দখলদার ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে গতকাল মঙ্গলবার প্রস্তাব পাঠিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই প্রস্তাবে হামাস প্রথমে ১৩৫ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তীতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলেছে। এছাড়া তারা গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে।
হামাসের এই প্রস্তাবটি প্রকাশ হওয়ার পর— দখলদার ইসরায়েলের কয়েকজন কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১৩কে জানিয়েছেন, হামাসের কিছু দাবি অগ্রহণযোগ্য। যা তারা মানতে পারবে না। তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।
এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, হামাসকে নির্মূল করার আগ পর্যন্ত তারা গাজা থেকে কোনো সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে না।
তবে হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করার বদলে; এ নিয়ে আরও আলোচনা করা যায় কি না সে বিষয়ে এখন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ভাবছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এখন ইসরায়েলের পরিকল্পনা হলো হামাসের সঙ্গে আরও আলোচনার মাধ্যমে তাদের নমনীয় করা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। এরপর গাজাকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালানো শুরু করে তারা। যা গত চার মাস ধরে অব্যাহতভাবে চলছে। তাদের এসব হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর এখন কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চলছে।
গত কয়েকদিন ধরে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এছাড়া উত্তরাঞ্চলেও চলছে লড়াই। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছিল, উত্তরাঞ্চলে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করেছে তারা।
গাজার সর্বশেষ নিরাপদ স্থান রাফাহতে এখন হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। গাজার যত বাসিন্দা ছিলেন তাদের প্রায় সবই এখন রাফাহতে অবস্থান করছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, যদি রাফাহতে কোনো ধরনের হামলা হয় তাহলে সেখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে।