পাইকগাছায় শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সোহরাবকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, মামলা নং-২১।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলা গদাইপুর ইউনিয়নে মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে মিন্টু গোলদার যশোর ইট ভাটায় কাজ করেন এবং সেখানেই থাকেন।তার শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে সাদিয়া (১৭) কে তার দাদি রোকেয়া বেগম এর কাছে রেখে যান। দাদি রোকেয়া বেগম পুরাইকাটি গ্রামের একটি ভাটায় প্রতিদিন সকাল ৬ টায় কাজে যাওয়ার আগে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী পুতনী সাদিয়া বেঁধে রেখে যান। কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন বিকাল ৫টার দিকে। ২৭ শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে সাদিয়া ঘুমিয়ে থাকায় তাহাকে না বেঁধে দাদি রোকেয়া কাজে চলে যায়। রোকেয়া বেগম দুপুরের দিকে লোকমুখে জানতে পারেন পুতনী সাদিয়া কে হিতামপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম গাজীর ছেলে সোহরাব হোসেন ধর্ষণ করেছে। খবর শুনে দ্রুত বাড়িতে এসে পুতনী সাদিয়া কে এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ধর্ষিত হয়েছে মর্মে ইসারা ইঙ্গিতে প্রকাশ করেন।
এসময়ে রোকেয়া পুতনী সাদিয়া কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সে ইশারা ইঙ্গিতে সোহরাব হোসেন কে সনাক্ত করেন। এছাড়াও রোকেয়া আশেপাশে লোকের কাছে জানতে পারেন পুতনী শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সাদিয়া ঘুম থেকে উঠে দাদি রোকেয়া কে না পেয়ে হাটতে হাটতে গদাইপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের পাশে মাঠের কাছে গেলে বেলা ১২ টার দিকে সাদিয়াকে কৌশলে সোহবার তার বাড়িতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।
এসময়ে সাদিয়ার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে সোহরাব পালিয়ে যায়। এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আল-আমিন বলেন, ধর্ষক সোহরাব হোসেন মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, সোহরাব হোসেনের নামে নারী-শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।