বিরাট কোহলিকে কখনো যে মাঠে মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি, তা নয়। ভারতীয় ব্যাটার কোনো না কোনো কারণে হতাশা প্রকাশ করেন। বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে আজ নিজের আউট নিয়ে ক্ষোভ ঝারেন কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও কথা বলেছেন কোহলির আউট নিয়ে।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ২২৩ রানের লক্ষ্যে নেমে আরসিবির দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি ঝোড়ো শুরু করেন। কোনো উইকেট না হারিয়ে আরসিবি করে ফেলে ২৭ রান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে কোহলিকে কট এন্ড বোল্ড করেন হারশিত রানা। হারশিতের ফুলটস বল নো বল হবে কি না—সে ব্যাপারে কোহলি রিভিউ নেওয়ার আগেই আম্পায়ার রিভিউ নেন। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেখে কোহলিকে আউট ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় ব্যাটার রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছেন। একই সঙ্গে ক্ষোভও ঝারতে দেখা গেছে তাঁকে। ডাগআউটে বসে বারবার সেই আউট নিয়েই যেন কথা বলেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কোহলির আউট প্রসঙ্গে ডু প্লেসি বলছেন, ‘এটা খুবই পাগলাটে। নিয়ম তো নিয়মই। বিরাট ও আমারও মনে হচ্ছিল বল তার কোমরের চেয়ে উঁচুতে ছিল। সব সময় আপনি একটা দলকে খুশি দেখবেন। এমন সিদ্ধান্তে অন্যান্যরা খুশিও হয় না।’
৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ রান করে আউট হয়েছেন কোহলি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, হারশিতের ফুল টস উইকেট ছেড়ে অনেক বাইরে এসে মোকাবিলা করেন কোহলি। নতুন হক-আই বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি অনুযায়ী, বল ভূমির ০.৯২ মিটার ওপর থেকে বেরিয়ে যেত যদি তিনি উইকেটের ভেতরে থাকতেন। ভূমি থেকে কোহলির কোমরের উচ্চতা হিসেব করা হয়েছে ১.০৪ মিটার। তার মানে উইকেটের ভেতরে থাকলে বল কোমরের নিচ দিয়েই চলে যেত।
কোহলির হতাশার দিনে আক্ষেপে পুড়ল বেঙ্গালুরুও। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে ১ রানে হেরেছেন কোহলি-ডু প্লেসিরা। পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে তাই আর ওপরে ওঠা হলো না আরসিবির। ৮ ম্যাচে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট কোহলিদের, নেট রানরেট:-১.০৪৬। কলকাতা ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। সমান ৭ ম্যাচে সমান ১০ পয়েন্ট পেয়েও নেট রানরেটে পিছিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কলকাতা ও হায়দরাবাদের নেট রানরেট +১.২০৬ ও +০.৯১৪।