‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এখন আর দূর ভবিষ্যতের বিষয় নয়। পরিবেশ এবং মানুষের বাস্তুসংস্থানের উপর এরই মধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। জনস্বাস্থ্যের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবও এখন দৃশ্যমান এবং তা পরিমাপ করা যাচ্ছে।’ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীজুড়ে তাপদাহ জনিত মৃত্যু বেড়ে গেছে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও ক্ষতি করছে। অত্যধিক তাপমাত্রা মন ও মেজাজকে প্রভাবিত করে গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও সৃষ্টি করছে। তাই সরকারি, বেসরকারি ও সুশীল সমাজকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। বিশ^ব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আবাসন প্রকল্প এবং ব্যক্তিগতভাবে যারা কৃষিজমি নস্ট করে অপরিকল্পিকভাবে আবাসন করছে তারা পরিবেশের দিকে নজর দিচ্ছে না। বরং গাছ নিধন করে আবাসন করছে। জলাশয় বন্ধ করা হচ্ছে। নদী-খালবিলের জমি দখল কওে অন্যকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ খুলনার পরিবেশ কর্মিদের সমাবেশে বক্তারা।
শনিবার (এপ্রিল) বেলা ১১টায় জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গ্রিনহাউজ গ্যাস নি:সরণ কমাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পরিবেশ কর্মিদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ, খুলনার নারী সেলের আহবায়ক এ্যাড: শামীমা সুলতানা শীলু। সঞ্চালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যান্যদেও মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, শেখ মফিদুল ইসলাম, এ্যাড : মোমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার, সরদার আবু তাহের, নূরুন নাহার হীরা, মো: আব্দুস সবুর, আফরোজা জেসমিন বীথি, নাজমূল তারেক তুষার,মুক্তা জামান রাখী, মীর মো: কবির হোসেন, আনোয়ারা খাতুন, নুসরাত আঁচল টুসি, বদরুন নাহার, মদিনা মনোয়ারা,রুবি আকতার, মাহামুদা খাতুন, সাংবাদিক খান আজরফ হোসেন মামুন, দুর্জয় হালদার, ছাত্রনেতা জয় বৈদ্য প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপদাহ, দাবানল ও আবহাওয়া-সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনাগুলোর পরিমাণ ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর বিরূপ প্রভাবও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে মানসিক অবসাদ, আগ্রাসন, এমনকি আত্মহত্যার উচ্চ হারসহ বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার যোগসূত্র রয়েছে। যদিও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা তাপমাত্রার বাইরেও বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের বৃক্ষ নিধন করা যাবে না বরং বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সভায় সকল সংগঠণকে বৃক্ষরোপণ করার জন্য আহবান জানান। পরে কলেজ ক্যম্পাসে বৃক্ষরোপণ করা হয়।