বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার চাল-রায়েন্দা গ্রামের বান্ধাঘাটা এলাকায় বজ্রপাতে দুই শ্রমিক মৃত্যু হয়েছে হয়েছে। এসময় আরো ছয়জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রবৃষ্টির মধ্যে নদীর ঘাটে থাকা কার্গো থেকে বালু তোলার সময় হটাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই শেখ মিলন (৪০) ও মোস্তফা (৫৫) নামে দুই বালু শ্রমিক নিহত হয়।
বজ্রপাতে নিহত দুই শ্রমিকের মধ্যে শেখ মিলনের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামে ও নিহত অপর শ্রমিক মোস্তফার বাড়ি পিরোজপুর সদরের বালিপাড়া গ্রামে।
স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বজ্রপাতে আহত ৬ বালু শ্রমিককের মধ্যে পাঁচ জনকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অপর এক বালু শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বজ্রপাতে আহত শরণখোলায় চিকিৎসাধীন পাঁচ জন বালু শ্রমিকরা হলেন, রাসেল গাজী (৩০), বাবুল সওদাগার (৪৫), খোকন গাজী (৪২), সোহেল তালুকদার (৩০) ও জলিল হাওলাদার (৪৫)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো অপর বালু শ্রমিকের নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চাল-রায়েন্দা গ্রামের বান্ধাঘাটা এলাকায় বজ্রবৃষ্টির মধ্যে কার্গো থেকে বালু তোলার সময় বজ্রপাত আছড়ে পড়লে দুই বালু শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মোস্তফা ও মিলন নামে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৬ জন বালু শ্রমিককে মধ্যে ৫জনকে শরণখোলা হাসপাতালে ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।