নব্বইয়ের দশকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন সোমি আলি। সম্পর্কে ছিলেন বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গেও। যদিও বর্তমানে তিনি কাজ করছেন নারী স্বাধীনতা নিয়ে। সমাজের নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে লিভ-ইন রিলেশনশিপ নিয়ে কথা বলেছেন সোমি। বিয়ের আগে লিভ-ইনের পরামর্শ দিয়েছিলেন বলিউউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত আমান। তবে তার এ পরামর্শ অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেননি। সমালোচনায় মেতেছেন অভিনেত্রীর। যে কারণে জিনাতের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোমি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন মাউন্ট মেরির বিদ্যাচলে থাকতাম, তখন জিনাতজি এবং মাজহার ভাই (জিনাতের প্রয়াত স্বামী) আমার প্রতিবেশী ছিলেন। জ্যাকি শ্রফ এবং আয়েশা শ্রফ কাছাকাছি থাকতেন। আমরা যখনই শুটিংয়ে যেতাম, তখনই দেখা হত।’
এরপর জিনাত আমানের বক্তব্যেকে সমর্থন জানিয়ে সোমি বলেন, ‘অনেকেই তার বক্তব্যের নিন্দা করেছেন। আমাদের জনসংখ্যা বর্তমানে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছে। আমি মোটেও লিভ-ইন সম্পর্কের বিরোধী নই। জিনাতজির বক্তব্যকে ১০০ শতাংশ সমর্থন করি। কারণ আপনি যখন কারও সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন, তখন আপনি সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। না মানে না। আপনারা একে-অপরের সম্পর্কে জানতে পারেন। আমাদের সবারই কিছু পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে। লিভ-ইনের ক্ষেত্রে সেটা আগে থেকে বোঝা সম্ভব। এটি বিবাহবিচ্ছেদের হার কমাতে সাহায্য করে।’
বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদের ক্রমবর্ধমান হারের কথা উল্লেখ করে সোমি আলি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান এবং বিশ্বজুড়ে বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। জিনাতজি অত্যন্ত বুদ্ধিমান। সান ফ্রান্সিসকোতে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বুদ্ধিমান, শিক্ষিত এবং স্পষ্টভাষী। আমি নিন্দুকদের বলতে চাই, আমরা আর ১৯৫০-এর দশকে বাস করি না। ২০২৪ সালে বিশ্ব অনেক বদলে গেছে এবং আইনত একজন পুরুষ ও একজন নারী লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকতেই পারেন।’