স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অনন্য ভূমিকা রাখায় দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ স্কাউটসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ অর্জন করেছেন। রোববার (২ জুন) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ পরিয়ে দেন। এদিন দেশের ৪৫ জনকে এ পদক দেওয়া হয়। দেলোয়ার হোসেন খুলনার খালিশপুরে বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস থেকে ন্যাশনাল সার্টিফিকেট, মেডেল অব মেরিট, বার টু দি মেডেল অব মেরিট এবং লং সার্ভিস ডেকোরেশন, সভাপতি ভ এবং সিএনসি’স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের একজন ব্রোঞ্জ মেম্বার। স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার তিনি ‘রৌপ্য ইলিশ’ পেলেন।
দেলোয়ার হোসেন নব্বই দশকে স্কাউট লিডার বেসিক কোর্স সম্পন্ন করে ১৯৯৪ সালে উডব্যাজ অর্জন করেন এবং ২০০৩ সালে সহকারী লিডার ট্রেইনার ও ২০১১ সালে লিডার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জেলা সমাবেশ, আঞ্চলিক সমাবেশ. জাম্বুরি, ক্যাম্পুরি, কমডেকা, রোভার মুট, এশিয়া প্যাসিফিক জাম্বুরি, থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ট্রেইনার্স কনফারেন্সসহ ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত স্কাউট জাম্বুরি ও জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরিতে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
দেলোয়ার হোসেন সুদীর্ঘ ৩৫ বছর অগ্রণী মুক্ত স্কাউট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, খুলনা মেট্রোপলিটন স্কাউটসের জেলা স্কাউট লিডার, বাংলাদেশ স্কাউট খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ-কমিশনার (প্রশিক্ষণ ও আইসটি), আঞ্চলিক উপ- কমিশনার (সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্কাউটস, খুলনা অঞ্চলের ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্কাউটিংয়ের পাশাপাশি দেলোয়ার হোসেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় খুলনার নির্বাচিত জিএস ছিলেন। তিনি খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের একজন দাতা সদস্য, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পিএইটি সেন্টারে খুলনার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কমিটির নির্বাহী সদস্য, সর্বজনীন পেনশন স্কিম খুলনা জেলা বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রাখার জন্য শের-ই-বাংলা ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এবং স্বাধীনতা স্মৃতি গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড- ২০২২ অর্জন করেন। তিনি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ খুলনা মহানগরের সভাপতি, খুলনা বিভাগের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিটির একজন সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯২ সনে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করে তিনি বর্তমানে খুলনা জেলার ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।