ব্রিটিশ বাংলাদেশী বিশ্ব বিখ্যাত রন্ধন শিল্পী টমি মিয়া এম.বি.ই আজারবাইজানের বাকুতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এইচ,ই মি ফার্গুসন অল্ড ওবিই আহবানে ব্রিটিশ দূতাবাসে বিশ্ব বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী টমি মিয়া এম.বি.ই হায়াত রিজেন্সীতে রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিন উদযাপনে ব্রিটিশ জাতীয় খাবার এবং ৩য় রাজা চার্লসের প্রিয় খাবার টিক্কা মাসালা প্রস্তুত করেন। বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০০ জন অতিথি উপস্থিত হয়েছেন। টমি মিয়া ব্রিটিশ পরিবারের সাথে ওতপ্রুতভাবে জড়িত। তার আহবানে লন্ডনে তার ইন্ডিয়ান শেফ অ্যাওয়ার্ডে এইচ আর এইচ প্রিন্সেস অ্যান এবং মুম্বাইয়ের তাজ ল্যান্ডস এন্ড হোটেলে এইচ আর এইচ প্রিন্স আওয়ার্ড উপস্থিত ছিলেন।
২০০০ সালে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবাথের জন্য আই টিভির “দিস মর্নিং ” এ লাইভ রান্নার বিভাগসহ তার রান্নার বই” দ্যা ফেভারিট রেসিপিজ অফ দ্যা রাজ ” চালু করেছিলেন।
তিনি বিশ্বব্যাপী এই ব্রিটিশ কারী প্রচারের জন্য গ্রেট ব্রিটিশ কারী ফেস্টিভ্যাল চালু করেন। লন্ডন, লিসবন, পর্তুগাল, বাংলাদেশ এবং নেপালে বুকিং নিশ্চিত করা হয়েছে। এবং আরও দশটি দেশ ২০২৪/২৫ নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
টমি মিয়া গত ২৫ বছর ধরে স্থানীয় এবং বিশ্বব্যাপী অসংখ্য দাতব্য সংস্থাকে সাহায্য করেছেন। তিনি বিশ্বের দক্ষ সেফ দের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ২০০১ সালে টমি মিয়া’স হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রান্নার কাজ শিখেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষতার সাথে কাজ করছেন।
স্যাটেলাইট সিটি শহর : প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আ,ফ, ম, মুস্তফা কামাল ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশ সরকার ঢাকার চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু করেছে। এই শহরগুলির লক্ষ্য রাজধানীর প্রবৃদ্ধি পরিচালনা করা এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুর উভয় প্রান্তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটির পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা। সমস্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য আবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার গুচ্ছগ্রাম-2 প্রকল্পের আওতায় 37,254টি জলবায়ু শরণার্থী পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে।
টমি মিয়া স্যাটেলাইট সিটির এই উদ্যোগকে সমর্থন করতে এবং তার জিবিসিএফ-এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে আগ্রহী। তিনি এই শহরগুলির উন্নয়নে সরকারকে সহায়তা করতে, তাঁর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রচারে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে আগ্রহী। টমি মিয়া ২০২৪ সালের নভেম্বরে আজারবাইজানে সিওপি29-এ যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন যাতে তিনি টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে বিশ্ব নেতা এবং এনজিওদের কাছে তার প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন এইচ,ই,ফার্গুসন ওল্ড ওবিই, ব্রিটিশ হাই কমিশনার, আজারবাইজান, বাকু। এডওয়ার্ড ইভানস, ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রিটিশ এম্ব্যাসী,বাকু জন পিটারসন, প্রেসিডেন্ট, ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্স।