প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এই আবহে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। পূর্বাঞ্চলের সীমান্তকে সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতা থেকে এডিজি ইস্টার্ন কমান্ড বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সীমান্তে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন বিএসএফের ডিজি।
বাংলাদেশ সীমান্তের দায়িত্ব যেহেতু বিএসএফের, মূলত ইস্টার্ন কমান্ডের, সূত্রের খবর দায়িত্ব তাদের হাতেই দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা কোনোভাবে ভারতে প্রবেশ করে কোনও সমস্যা তৈরি করতে যেনও না পারে, বিএসএফ তাতে নজর রাখছে। সেনাবাহিনী যাবতীয় সহযোগিতা করবে বিএসএফকে।
এখন অবধি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কারণ এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আন্তর্জাতিক সৌজন্য মেনেই এখনও তারা কিছু বলেনি। তবে বাংলাদেশের ভেতরে যা ঘটছে, প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পর তার প্রভাব বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার ওপর পড়তে পারে। ইতোমধ্যে ইস্টার্ন কমান্ডসহ বিএসএফ সম্পূর্ণভাবে সীমান্তের ভারতীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লকে চরম তৎপরতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নর্থ ব্লকে, সাউথ ব্লকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও। তবে কী ধরনের তৎপরতা, কী প্রস্তুতি তা নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করা হয়নি।
নজর থাকছে, বাংলাদেশি শরণার্থীদের কোনও চাপ তৈরি হচ্ছে কি না। ভারতের দিকে বাংলাদেশিরা ঢোকার চেষ্টা করে কি না। যদি তেমনটা হয়, তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, ভারত সরকারের অবস্থান কী হবে সবটা জানতেই এই মুহূর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে সবাই।
কলকাতায় উল্লাস বাংলাদেশিদের
কলকাতার মারক্যুইস স্ট্রিটে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা পথে নামলেন। শহর কলকাতার বুকে উল্লাসের ছবি। ঢাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের স্লোগান শোনা যাচ্ছেল কলকাতার বাংলাদেশিদের গলায়।কলকাতার রাস্তায় বিজয়োল্লাসে সামিল হয়েছেন তারা।