বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বন্যাকবলিত এলাকার মানুষগুলো এখন মহাবিপদে। সহায় সম্বল হারিয়ে লাখো-লাখো মানুষ এখন নিদারুণ অসহায় জীবন যাপন করছে। দেশের যেকোন দুর্যোগে ও সঙ্কটে বিএনপি জনগণের পাশে থাকে। বরাবরের মতোই আগামীর দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দুর্যোগপূর্ণ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ পাইকগাছার পানিবন্দি ১৪টি গ্রামের মানুষের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বাংলাদেশের যে কোনো দুর্যোগে, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর বেড়িবাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের কাজ, নকশায় ত্রুটি ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বেড়িবাঁধ টেকসই হয় না। বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে প্রতিবছর জলে ঢালা হচ্ছে শত শত কোটি টাকা। সকল দুর্নীতি লুটপাটের বিচার হবে বাংলার মাটিতে। এ সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, বেগম রেহেনা ঈসা, স ম আবদুর রহমান, বদরুল আনাম খান, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ সাদী, আশরাফুল আলম নান্নু, দৌলতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মুর্শিদ কামাল, খানজাহান আলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব ইমাম হোসেন, খানজাহান আলী থানা বিএনপি সদস্য সচিব আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, সাঈদ হাসান লাভলু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শফিকুল ইসলাম শাহীনসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, পূর্ণিমার জোয়ারে গত বৃহস্পতিবার খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর বেড়িবাঁধ ভেঙে কালীনগর, দারুল মল্লিক, হরিণখোলা, সৈয়দখালি, সেনেরবেড়, গোপীপাগলা, খেজুরতলা, তেলিখালী, হাটবাড়ী, ফুলবাড়ী, বিগরদানা, দুর্গাপুর ও নোয়াই ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যাতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি।