বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারগুলোর মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনগণের নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণসহ সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দূর্নীতি দূর করতে হবে। শিক্ষাখাত, স্বাস্থ্যখাতসহ প্রতিটি খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন, পরাষ্ট্রনীতিকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। শিশুশ্রম , ভিক্ষাবৃত্তির মতো হৃদয়স্পর্শী বিষয়গুলো থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনতে হবে। নবগঠিত এই সরকারের প্রতি নাগরিকদের আস্থা, বিশ্বাস ও আকাঙ্খা তৈরী করতে পারলে সাফল্য আসবেই। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ,খুলনার আলোচনা সভায় বক্তারা।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় স্থানীয় সেমিনার কক্ষে নাগরিক সংগঠণ জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভাানুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক নেতা এ্যাড: আফম মহসিন । সভায় ধারণাপত্র পাঠ করেন জনউদ্যোগের সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। সূূচনা বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট শাখার শিক্ষার্থী মো: তানিম হাসান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ্যাড: শামীমা সুলতানা শীলু, নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, শিক্ষকনেতা মানস রায়, শেখ মফিদুল ইসলাম, সমাজকর্মী মাসুদ মাহমুদ, এ্যাড: মামুনর রশীদ, প্রাণীপ্রেমী এস এম সোহরাব হোসেন, সরদার আবু তাহের, নূরুন নাহার হীরা, বিধান চন্দ্র রায়, বাহালুর আলম, উম্মে উমামা রাত্রী, সাগর সরকার, দুর্জয় হালদার, দীপ কুমার বৈদ্য, ধারিত্রী সরকার, পিয়া দেবনাথ, সাগর পোদ্দার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান তরুন প্রজন্ম ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে নির্বাচনে অবাধ কারচুপি, রাজনৈতিক দলগুলোর অনবরত পেশি শক্তির ব্যবহার, বিরোধী দল ও মত দমনে হয়রানিমূলক মামলা, গুম, খুন, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ইত্যাদি। এজন্য এ প্রজন্মের একটি বড় অংশ রাজনীতিবিমুখ‘আই হেইট পলিটিক্স’ সংস্কৃতির মধ্যে বড় হচ্ছিল। এজন্য তরুণদের সংগ্রামকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের মতো বড় উদ্যোগ নতুন সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।