সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
স্থানীয় নদীতে দেখা মিলছে না ইলিশের দাকোপে হাজারো জেলে পরিবার হতাশ | চ্যানেল খুলনা

স্থানীয় নদীতে দেখা মিলছে না ইলিশের দাকোপে হাজারো জেলে পরিবার হতাশ

খুলনার দাকোপে ভরা মৌসুমেও স্থানীয় বিভিন্ন নদীতে দেখা মিলছে না দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের। এতে একদিকে এলাকার জনসাধারণ রূপালী ইলিশের স্বাদ ভুলতে বসেছেন। আবার অন্যদিকে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন উপজেলার হাজারো জেলে পরিবার।

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৃথক ৩টি দ্বীপের সমন্বয় গঠিত এই উপজেলা। এর চারপাশে নদী দিয়ে পরিবেষ্টিত। এঅঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ এক সময়ে মৎস্য আহরনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর এ মৎস্য আহরনের অভয়ারণ্য ছিল উপজেলার উল্লেখযোগ্য ঢাকী, ভদ্রা, শিবসা, কাজীবাছা, মাঙ্গা, পশুর ও ঝপঝপিয়া নদী।

বর্তমানে বিভিন্ন এলাকার প্রায় হাজারো জেলে পরিবার এই পেশার উপর নির্ভরশীল। এসব জেলেরা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ও মহাজনের দাদন নিয়ে জাল নৌকা কিনে অনেকে নদীতে নেমেছেন। কিন্তু দিনরাত নদীতে জাল ফেলেও ইলিশ না পেয়ে তারা নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এমনকি ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না এসব জেলেরা। যে কারনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেও ক্রেতাদের সাথে ইলিশের দেখা মিলছে খুব কম। মাঝে মধ্যে দুই একজন জেলের জালে দুই একটি মাছ ধরা পড়লেও বাজারে তার দাম অনেক বেশি। যা সাধারন মানুষ কিনে খেতে পারছেন না। এনজিও ঋনের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় তাদের সাথে প্রায়ই বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন জেলেরা। মাঝে মধ্যে আবার আত্মগোপন করেও থাকতে হচ্ছে অনেক জেলেকে। অন্য কোন আয়ের উৎস্য না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন উপজেলার এসকল জেলে পরিবারগুলো। জেলেদের পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটাছেন। এতে জেলেরা অর্থ কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আবার সাধারন মানুষও রূপালী ইলিশ মাছের স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছেন। এদিকে দীর্ঘদিন ইলিশের দেখা না পেয়ে ইতি মধ্যে এ পেশা ছেড়ে কেউ কেউ আবার অন্য পেশা শুরু করে সংসার চালাছেন। সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিলে তাদের কিছুটা মাথা গোজার ঠাই হতো বলেও এসব জেলেরা জানান।

পশুর নদীর জেলে উপজেলার চালনা এলাকার নারায়ন মন্ডল জানান, তার একমাত্র পেশা ইলিশ মাছ ধরা। চলতি মৌসুমে মহাজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাদন নিয়ে জাল এবং নৌকা কিনেছেন। কিন্তু ভরা মৌসুমেও নদীতে দিনরাত জাল ফেলে ইলিশ মাছের দেখা না পেয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এতে অভাব অনাটনে তাদের ৪টি পরিবার অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন বলে জানান।

মাছ বাজারে এ প্রতিবেদকের কথা হয় সমরেশ বিশ্বাস নামে ক্রেতার সাথে। তারা বলেন স্থানীয় নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি বিধায় মাছ কিনতে এসেছেন। কিন্তু বাজারে দুই একটা মাছ আসায় দাম অত্যান্ত চড়া। সবার পক্ষে এতো দামে মাছ কিনে খাওয়া সম্ভব না। তাই মাছ না কিনে তারা নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

চালনা বৌমার গাছতলার মাছ বাজারের ব্যবসায়ী হালিম শেখ জানান, স্থানীয় নদীর ইলিশ তেমন একটা বাজারে আসছে না। যা দুই একটা আসছে তা এক কেজি ওজনের মাছ ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা বিক্রি করছেন। আর ছোটগুলো ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা বিক্রি করছেন। এছাড়া ঝাঁটকা বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দামে।

এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রণজিত কুমার বলেন, এখন তো নদীতে জেলেদের জালে দুই একটা ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় নদীতে প্রচুর পরিমানে ইলিশ মাছ ধারা পড়বে। তা ছাড়া বৃষ্টি কম এবং স্থানীয় নদী পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় ও নদীর মুখে বিভিন্ন কারণে বাধা প্রাপ্ত হওয়ায় মাছ উঠতে একটু দেরি হয়।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা আরও সংবাদ

ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : চরমোনাই পীর

ডুমুরিয়ায় খালের দখলমুক্তসহ ৩ স্থাপনা উচ্ছেদ 

গাজায় মুসলমানদের উপর গণহত্যা ও নিপীড়িনের প্রতিবাদে রংধনু স্পোর্টিং ক্লাবের মানববন্ধন

সুন্দরবনে ১১০ কেজি হরিণের মাংসসহ ১ জন আটক

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে কয়রার কপোতাক্ষ কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

ডুমুরিয়ায় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।