খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে নেতাকর্মীর আত্মত্যাগ, আগস্টে হাজারো ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ কিছু ব্যক্তির অপকর্মের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির বিশেষ জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি মহল নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। যে কোনো মূল্যে সম্প্রীতি রক্ষা, লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বন্ধসহ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। মহানগর বিএনপির বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের মধ্যে পদধারী নেতা নেই। বেশিরভাগই দল থেকে পদত্যাগী, হাইব্রিড এবং দলে অনুপ্রবেশকারী। যারা দলের দুর্দিনে পাশে ছিল না, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারাই রাতারাতি দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি-সুনাম ক্ষুন্ন করছে। এসব ব্যাপারে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফকরুল আলম, স.ম আ. রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ূন কবির (ভিপি হুমায়ূন), শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, জালাল শরীফ, সাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, অ্যাড. মাসুম রশিদ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, অ্যাড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল কবীর মিল্টন, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিলটন, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, শেখ ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মাহবুবউল্লাহ শামীম, আবু সাঈদ শেখ, আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজুল ইসলাম লিটন, রিয়াজ সাহেদ, মো. খবির উদ্দিন, সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, মো. লিয়াকত হোসেন লাভলু, আব্দুল ওহাব, মোঃ মতলুবুর রহমান মিতুল, জাহাঙ্গীর হোসেন, আমিন আহমেদ, শেখ আব্দুল আলিম, মোঃ শাহ্ জালাল, মোস্তফা কামাল, মাজেদ শেখ, মেশকাত আলী, কাজী নজরুল ইসলাম, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, শওগাতুল আলম সগীর, আক্কাস আলী মোল্লা, বজলুর রহমান রাজা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নুর ইসলাম, কাজী ইকরাম মিন্টু, পারভেজ ইসলাম, সরোয়ার হোসেন, ইসলাম বিশ^াস, ইসলাম মোল্লা, আজিজুর রহমান, খোদা বক্স কোরায়েশি কাল্লু, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, যুবদলের জাকির ইকবাল বাপ্পি, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আলমগীর হোসেন তালুকদার, ছাত্রদলের ইমরান হোসেন, সাইফুর রহমান হাইসাম, মহিলা দলের শাহনাজ সরোয়ার প্রমূখ।
সভা থেকে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও ৩টি ইউনিয়নে সুধী সমাবেশ করা সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সুধী সমাবেশে আগামী দেশনায়ক, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরবে বিএনপি। সুধি সমাবেশে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ৩১দফা বর্ণনা করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্প্রতি দেয় রাষ্ট্র মেরামতের বক্তব্য জনগণের মাঝে তুলে ধরবেন বিএনপি।
এছাড়া যে সকল ওয়ার্ডে বিএনপির সম্মেলন বাকি আছে প্রতিদিন দুটি করে সম্মেলনের মাধ্যমে সেগুলো সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভা থেকে নগরীর ৩৪টি সুধি সমাবেশ সফল করতে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মাহমুদ আলী ও চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজকে সমন্বয়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সভা থেকে ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছাত্রদলকে সু-সংগঠিত করার জন্য মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু ও শেখ সাদীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সভা থেকে মিডিয়া সেলের জন্য পৃথক অফিস ভাড়া নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। উল্লেখ্য বিশেষ জরুরী সভাটি শুক্রবার রাতে মুলতবী করা হয়েছিলো।