যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় যশোর প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় যশোর প্রেস ক্লাবের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভাগের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল যশোর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইমরান খান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন, ড. মেহেদী হাসান জুয়েল, ড. মো. মজনুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মো. আল আমিন, প্রভাষক মো. তারেকুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, শুব দেব, জাহেদুল ইসলাম।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, টিউশনের পাওনা টাকা না দিয়ে বরং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ডেকে এনে কীভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে এর জবাব তাদের দিতে হবে। আমাদের সহপাঠীরা আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে আর হামলাকারীরা এখনো বাইরে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সব অপরাধীদের আটক করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মানববন্ধনে ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, মারধরের এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর ওপর কেউ যদি কোনো রকমের হাত তোলে, কারো ওপর কোনো অত্যাচার অবিচার এবং লাঞ্ছনা করা হয় তাহলে এর উপযুক্ত দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা মামলার ১ নম্বর আসামি তানিয়া আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি। বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব। উল্লেখ্য, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টিউশনির বকেয়া টাকা চাওয়ায় বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. নেসার উদ্দীন ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনকে মারধরের অভিযোগ উঠে যশোরের কাঁঠালতলা নিবাসী তানিয়া আলমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন এক শিক্ষার্থী।