খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন জিমনেশিয়ামের নির্মাণকাজের গতি আরও ত্বরান্বিত করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটে তিনি সরেজমিনে জিমনেশিয়ামের নির্মাণাধীন কাজ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নিকট থেকে জিমনেশিয়াম নির্মাণকাজের অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তারা প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমকে জিমনেশিয়ামের বিভিন্ন অংশের সুযোগ-সুবিধা ও গ্যালারিতে দর্শক ধারণক্ষমতাসহ সামগ্রিক বিষয় অবহিত করে বলেন, এই জিমনেশিয়াম ভবনের নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সামগ্রিক বিষয় অবহিত হওয়ার পর তিনি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য খেলাধুলার উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে নির্ধারিত সময়ের অন্তত এক-দুই মাস পূর্বে গুণগতমান বজায় রেখে কাজ শেষ করার জন্য প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের তাগিদ দেন।
এ সময় প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. রাফসান নুন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রশান্ত কুমার দাশ এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (এনডিই) এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুল আলিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক সুবিধা সম্বলিত জিমনেশিয়াম ভবনের আয়তন ৩ হাজার ৯৭ বর্গমিটার। এই জিমনেশিয়ামে থাকবে হ্যান্ডবল কোর্ট, ৫৯৮ জন দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি, ফিটনেস সেন্টার, ইনডোর গেমস্ কাম স্টুডেন্ট ক্যাম্পিং, ডাইনিং ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের রুমসহ অন্যান্য আধুনিক সুবিধা। এই অবকাঠামোর মধ্যে সন্নিবেশিত থাকবে ফিটনেস সেন্টারটি। এই জিমনেশিয়াম নির্মাণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও শরীরচর্চা কার্যক্রমে ব্যাপকতা বহুলাংশে বাড়বে এবং যার মাধ্যমে নতুন নতুন ক্রীড়াবিদ তৈরি হবে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে নির্বিঘ্নে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হবে।