রবিবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা বিএনপি। বিকেলে নগরীর শিববাড়ি মোড় জিয়াহল চত্বরে সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে কয়েক লাখ লোক অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। ইতোমধ্যে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত ঘটাতে চায় দলটি। সমাবেশ সফল করতে বিভাগের প্রস্তুতি সভাসহ প্রতিটি জেলা উপজেলা, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছেন দলের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি খুলনা মহানগর ও জেলার দায়িত্বশীল নেতারাও কাজ করছেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় ও মহানগর বিএনপি প্রস্তুতি সভা করেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, খুলনায় আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের সমাবেশ ও র্যালি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করবে বিএনপি। এই জন্য বিভাগের প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছি, তা জানান দিতে আজ রোববারের এই সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো। তিনি খুলনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র দিবসের সমাবেশ ও র্যালি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, খুলনা নগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়ের জিয়াহল চত্বরে আজ ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে নগরীতে র্যালী করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি খুলনা বিভাগ। স্বৈরাচারী সরকারের পতনে পরে এটিই বিএনপির বৃহৎ কর্মসুচি। গণতন্ত্র দিবসে খুলনা নগরী জনসমুদ্রে পরিনত হবে। শিববাড়ি জিয়া হল চত্বরে বেলা ২টায় সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে র্যালি শুরু হয়ে যশোর রোড হয়ে সার্কিট হাউজে গিয়ে শেষ হবে। র্যালিতে বিগত ১৭-১৮ বছরে দলের যারা গুম ও খুন হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। র্যালিতে গনতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে যে সকল নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন তাদের ছবি থাকবে। এছাড়া কর্মসুচি সফল করতে ৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো সমাবেশ সফল করতে কাজ করছেন। শনিবার রাত থেকেই সমাবেশ স্থলে মঞ্চ তেরীর কাজ শুরু হয়েছে। আজ দুপুর থেকে জাসাস শিল্পিরা সমাবেশস্থলে সঙ্গিত পরিবেশন করবেন। সমাবেশস্থল ও আশপাশে ৫০টির অধিক মাইক থাকবে। তিনি আশা করেন দুপুরের মধ্যে সমাবেশ স্থলে বিভাগের ১০জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড ও ৫ থানার নেতাকর্মীরা ব্যানার প্লাকার্ডসহ উপস্থিত হবেন। তিনি আরো জানান, সমাবেশ স্থলের মেডিকেল টিম, সংবাদকর্মীদের জন্য আলাদা মঞ্চ থাকবে।