অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। বর্তমানে নিজেকে অনেকটাই পর্দার জগৎ থেকে আড়ালে রাখছেন তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন শবনম ফারিয়া। যেখানে জানান, যে তার জীবনে শুটিং, চাকরি, ফ্যামিলি নিয়ে অনেক প্যারার মধ্যে রয়েছেন।
ফারিয়া পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভাই আপনারা কারা গিয়ে মানুষের পোস্টে এমন কমেন্ট দেন, মানুষ মনে করে আমি ফেক একাউন্ট বানায় কমেন্ট দিছি, আবার এইসবের স্ক্রিনশট আমার কাছে আসে। এত সময় কোথেকে পান? কেন এমন করেন? কি আনন্দ পান? নাকি কেউ নিজেরাই লিখে প্রিটেন্ড করে আমি তাদের নিয়ে চিন্তিত। যেইটাই হোক এইসব কইরেন না আল্লাহ্ ওয়াস্তে।’
শুটিং, চাকরি, ফ্যামিলি নিয়ে জীবনে অনেক প্যারা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষের এইটুকু সেন্সের অভাব আছে, যেই জিনিস আমি নিজ থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি, আমি আবার রাস্তায় গিয়ে দেখবো না আমার ছুড়ে ফেলা জিনিস কে কুড়ায় পেলো কিংবা কুড়ায় পেয়ে সে সেইটা মাথায় তুলে নাচে নাকি ডাস্টবিনে আবার ফেলে দিচ্ছে! জীবন, শুটিং, চাকরি, বাসা, ফ্যামিলি সব নিয়ে অনেক প্যারা আমার জীবনে, ফেলে দেয়া জিনিসের পিছনে দেয়ার মতো এত সময়, ইচ্ছা , আগ্রহ কিংবা সুযোগ কোনোটাই নাই! আল্লাহর কসম।’
তার ভাষ্য, ‘যাদের জীবনে কোন এচিভমেন্ট নাই, নিজের যোগ্যতায় কিছু করে দেখানোর যোগ্যতা নাই, তাদের “মুই কি হনু রে” বলে একটা বিষয় থাকে, মনে করে দুনিয়া তাদের কেন্দ্র করে ঘুরতেছে, দুনিয়া অনেক বড়। আমার দুনিয়া এখন আল্লাহর রহমতে অনেক বড়, অনেক বিস্তৃত! জীবনের কোন একটা সময়ে আবেগের বসে করে ফেলা ভুল, কিছু সময়ের পর সেই ভুল শোধরাতে পেরে সেইটা নিয়ে আফসোস করার মতো বোকা আমি না।’
ফারিয়া আরও লিখেছেন, ‘আমার একটা সময় পর্যন্ত কষ্ট ছিল, আমার মনে হইতো আমার সাথে অনেক ইনজাস্টিস হইছে। কিন্তু এখন আমি জানি সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। আল্লাহ ভুল শোধরানোর সুযোগ সেইজন্যই দিয়েছে, যাতে মানুষ সামনে এগিয়ে গিয়ে আল্লাহর বাকি সব রহমতের দেখা পায়। আমি বিশ্বাস করি আমার সাথে যারা ইনজাস্টিস করেছ, আল্লাহ তাদের প্রাপ্য তাদের দিয়ে না হয় তাদের আসে পাশের মানুষ, পরবর্তী প্রজন্ম তাদের দিয়ে হলেও বিচার করবে।’
পোস্টের শেষে বলেন, ‘আমি এইসব ফালতু জিনিস নিয়ে লিখার বয়স পার করে ফেলসি, তাও এক গাদা স্ক্রিনশট পেয়ে লিখলাম। আমি জীবনে অনেকদুর আগায় আসছি। সামনে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেয়ার জন্য অনেক বড় সুসংবাদও আছে (ক্যারিয়ার/লেখাপড়া বিষয়ক) আমি আর জীবনের কোন পর্যায় করে ফেলা ভুল নিয়ে কিছু লিখতে চাই না, সামনে লিখার অনেক বড় বড় টপিক আছে, অনেক বড় পরিসরে লেখা/কথা বলার সুযোগ আসছে, সেগুলো নিয়েই ভাবতে চাই।